এবার আমির-শাহীনের চাপে কিউইদের উড়িয়ে দিলো পাকিস্তান।তিন বছর পর পাকিস্তানের হয়ে খেলতে ফিরলেন মোহাম্মদ আমির। বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় খেলায় শেষ পর্যন্ত তাকে খেলতে ও বোলিং করতে হয়।
অনেক কথা বলার পরও পাকিস্তান সত্যিই তাকে ধরতে চেয়েছিল। বল নিক্ষেপে দারুণ কাজ করেছেন তিনি। প্রথম দুইবার বল ছুড়ে দলের হয়ে পয়েন্ট পেয়েছিলেন তিনি। তার আগে শাহিন শাহ আফ্রিদি নামে আরেক খেলোয়াড় বিশেষ ভঙ্গিতে বল ছুড়ে নিউজিল্যান্ড দলকে দুঃখ দিয়েছিলেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলায়, নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে এবং তাদের সমস্ত খেলোয়াড় আউট হওয়ার আগে মাত্র 90 রান করে। আফ্রিদি তিনটি ও আমির নেন দুটি উইকেট, উভয়েই ১৩ রানে।
পরস্পরের বিপক্ষে ব্যাট করা দুই ক্রিকেটার আউট হয়ে যাওয়ায় পালা শেষ করতে পারেননি। অন্য দুই খেলোয়াড় মোহাম্মদ আবরার ও শাদাব খানও দলের অন্য খেলোয়াড়দের আউট করেন। পিন্ডির দলটি ব্যাটিংয়ে ভাল কাজ করেছিল এবং তারা খেলা জয়ের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রান করেছিল। লক্ষ্যে পৌঁছানোর পর তাদের হাতে অনেক ওভার এবং উইকেট বাকি ছিল। সবচেয়ে বেশি রান করা খেলোয়াড় ছিলেন রিজওয়ান।
টিম রবিনসন, যিনি গতবার তার প্রথম খেলা খেলেছিলেন, নিউজিল্যান্ডের টিম সেফার্টের সাথে প্রথমে ব্যাট করতে আসেন। দুর্ভাগ্যবশত, রবিনসন এবার কোনো রান করেননি।
আমির আউট হওয়ার আগে মাত্র 4 রান করেন এবং দলের মোট 22 রান ছিল। আফ্রিদিও আউট হওয়ার আগে সাইফার্টকে ১২ রানে হারান। আফ্রিদি তখন ফক্সক্রফটকে আরও রানে হারায় এবং দলের মোট রান ৩৫।
এরপর, দ্বিতীয় ব্যাট করা দলটি নিয়মিত খেলোয়াড়দের হারাতে থাকে এবং খেলায় মেতে উঠতে পারেনি। দলের চারজন খেলোয়াড় কমপক্ষে 10 রান করেন, মার্ক চ্যাপম্যান সবচেয়ে বেশি 19 রান করেন।
পাকিস্তান ব্যাট করতে শুরু করলেও শুরুটা ভালো হয়নি। নিউজিল্যান্ড তাদের টার্নের দ্বিতীয় বলেই পাকিস্তানের একজন খেলোয়াড় সায়ুম আইয়ুবকে সরিয়ে দেয়। তারপর, বাবর আজম এবং উসমান খানও আউট হয়ে গেলেও তারা পাকিস্তানের হয়ে কয়েকটি পয়েন্ট করতে সক্ষম হয়েছিল। অবশেষে, মোহাম্মদ রিজওয়ানের সহায়তায় পাকিস্তানকে জয়ের কাছাকাছি যেতে সাহায্য করেন ইরফান খান।
ক্রিকেট খেলার সময় রিজওয়ান সত্যিই আশ্চর্যজনক কিছু করেছিলেন। তিনি আউট না হয়ে 45 রান করেন, যা একটি বড় অর্জন। রিজওয়ান পাকিস্তানের একজন খেলোয়াড় যিনি উইকেট কিপিং এবং ব্যাটিং উভয় ক্ষেত্রেই খুব ভালো। তিনি এখন টি-টোয়েন্টি নামে এক ধরনের ক্রিকেটে দ্রুততম খেলোয়াড় হিসেবে 3000 রান করার রেকর্ড গড়েছেন।
মাত্র ৭৯ বার গেম খেলে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। রিজওয়ানের আগে, পাকিস্তানের একজন বাবর এবং ভারতের বিরাট কোহলি নামে একজন বিখ্যাত খেলোয়াড় এই রেকর্ডটি ভাগ করে নেন। কিন্তু ৩ হাজার রান করতে তাদের লেগেছে ৮১ বার খেলতে।প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির কারণে বাবর আজমের দল বর্তমানে পাঁচটি খেলার মধ্যে একটিতে জিতেছে।