ম্যাচে ফিরেই চেন্নাইকে জিতিয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন মুস্তাফিজ!এম চিদাম্বরমের পিচে মুস্তাফিজ কার্যকরী হতে পারেন তা নিলামে মুস্তাফিজকে দলে ভিড়িয়েই জানিয়েছিল চেন্নাই। তবে দীর্ঘদিন থেকে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা মুস্তাফিজ কতটা কী করতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ ছিলই। মাথিশা পাথিরানা দলে থাকায় কাটার মাস্টারের একাদশে থাকা নিয়েও শঙ্কা ছিল। কিন্তু পাথিরানার ইনজুরিতে কপাল খুলে যায় মুস্তাফিজের।
প্রথম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে মাত্র ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। দলকে জিতিয়ে পান ম্যাচসেরার খেতাবও। পরের ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষেও ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। টানা উইকেট শিকার করে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির পার্পল ক্যাপও দখলে রাখেন। দিল্লির বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচটা ভালো কাটেনি মুস্তাফিজের। ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে শিকার করেন ১ উইকেট। দলও হারে।
এরপর গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম সারতে দেশে ফেরেন মুস্তাফিজ। ফলে সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে পারেননি তিনি। সেই সঙ্গে যুঝবেন্দ্র চাহলের কাছে পার্পল ক্যাপও হারান।
কলকাতার বিপক্ষে পার্পল ক্যাচ পুনর্দখলের পথে মুস্তাফিজ শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করেন । শিকার করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ও মিচেল স্টার্কের উইকেট। ধোনি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া না করলে পেতে পারতেন আন্দ্রে রাসেলের উইকেটও।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন মুস্তাফিজ। ওই ওভারে দেন ছয় রান। এর পাওয়ার প্লেতে ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে আসেন এই বাঁহাতি পেসার। ওই ওভারে ছয় রান দেন মুস্তাফিজ। ১৮তম ওভারে তার করা স্লোয়ার-কাটারে বারবারই ধরাশায়ী হয়েছেন রাসেল। নিজের ও ইনিংসের শেষ ওভারে বাই রানসহ মাত্র দুই রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেন এই বাহাঁতি পেসার। সব’মিলিয়ে চার ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে দুই উ’ইকেট শি’কার করেন কা’টার মা’স্টার।
দুই শিকার করে আবারও পার্পল ক্যাপ ফিরে পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এক ম্যাচ না খেলে পিছিয়ে পড়লেও ফিরেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আবারও দখল করেছেন আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর জায়গা।
ফিরেই জয় দিয়ে শুরু করতে পেরে খুশি মুস্তাফিজ। নিজের পারফরম্যান্সে তৃপ্ত কাটার মাস্টার ধন্যবাদ জানিয়েছেন সবাইকে।
মুস্তাফিজের অংশগ্রহণে হেসেখেলে জয় পেল চেন্নাই!
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে মুস্তাফিজ লিখেছেন, “ আবারও ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। জয় দিয়ে পুনরায় শুরুটা করতে পারা অসাধারণ। এটা ছিল দলগত নৈপুণ্য এবং আমি আমার পারফরম্যান্সে খুশি। সবার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। দৃষ্টি এখন সামনের দিকে।”
তিন উইকেট শিকার করেন রবীন্দ্র জাদেজা ও তুষার দেশপান্ডে। মাত্র ১৩৭ রানেই থামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। জবাবে অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকোয়াদের ফিফটিতে সাত উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।