চ্যাম্পিয়নস ট্রফির লরাইয়ে ভারতের কাছে হেড়ে গেলো বাংলাদেশ।মাঠের বাইরের আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ আরও একবার ব্যর্থ মাঠের ক্রিকেটে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ বৃগস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভারতের মুখোমুখি হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বল হাতেও লড়াই জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। শুভমান গিলের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে ভারত।
পূর্বে ব্যাটিংয়ে নেমে 49.4 ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান করে বাংলাদেশ। জ’বাবে ৪৬.৩ ওভারে ৪ উই”কেটে ২৩১ রান করে ভারত।
ভারতের কাছে ২২৯ রানের লক্ষ্য খুব বড় নয়। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে ২২৮ রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের আশা করাটাও কঠিন। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতার ছাপ দৃশ্যমান হয় বোলিংয়েও। ভারতের প্রথম উইকেট পড়ে দশম ওভারে। দ্রুতগতির শুরু এনে দেওয়া রোহিত শর্মাকে ফেরান পেসার তাসকিন আহমেদ। ৩৬ বলে ৭ চারে ৪১ রান করে কাভারে রিশাদ হোসেনের ক্যাচ হন ভারতীয় অধিনায়ক।
রিশাদের স্পিন ঘূর্ণি বুঝতে পারেননি বিরাট কোহলি। বাংলাদেশি লেগ স্পিনারের ডেলিভারিতে কাট করেন কোহলি। তবে, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। দলীয় ১১২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত। কোহলি বিদায় নেন ৩৮ বলে ২২ রানে। রিশাদের স্পিন ঘূর্ণিতে কোহলির পর সাজঘরে ফেরেন অক্ষর প্যাটেল। ৮ রান করে তাকে ফিরতি ক্যাচ দেন অক্ষর। উইকেটের দেখা পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। ভারতের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে শ্রেয়াস আইয়ারকে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে পরিণত করেন মুস্তাফিজুর রহমান। শ্রেয়াসের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।
১৪৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আর বিপদ হয়নি ভারতের। লোকেশ রাহুলকে নিয়ে বাকিটা পথ পাড়ি দেন গিল। ১২৯ বলে ৯টি চার ও ২ টি ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন গিল। রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে অপরাজিত ৪১ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ ২টি এবং তাসকিন ও মুস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শান্তর সেই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত করেন ভারতের বোলাররা। মোহাম্মদ শামির করা প্রথম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে সৌম্য সরকারকে স্ট্রাইকে দেন তানজিদ তামিম। শামির করা পরের ৪ বলে বেঁচে গেলেও ওভারের শেষ ডেলিভারিতে নিজেকে বাঁচাতে পারলেন না সৌম্য। উইকেটের পেছনে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫ বলে ০ রানে ফেরেন সাজঘরে।
One down এ এসে অধিনায়ক না’জমুল হোসেন শান্ত টিকতে পারেন মোটে ২ বল। হার’শিত রানার বলে শর্ট কা”ভারে বিরাট কোহ”লির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফে’রেন শান্ত। রানের খাতা খো’লার আগেই বিদায় নেন তিনি। দুই উই’কেট হা’রিয়ে বিপদে পড়া বাং’লাদেশকে খানিকটা আ’ত্মবিশ্বাস দিয়েছিল তানজিদ তামিমের ব্যাটিং। ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে তিনটি বাউন্ডারি মেরে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন তামিম। তবে, অন্যপ্রান্তে ব্যর্থ মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০ বলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি মিরাজ। মোহাম্মদ শামির বলের স্লিপে শুভমান গিলের তালুবন্দি হন মিরাজ।২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের।
মিরাজের বিদায়ের পর তামিমও আর থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ভালো শুরুর পরও ২৫ বলে ২৫ রান করে অক্ষর প্যাটেলের স্পিনে কুপোকাত হন তামিম। তার ক্যাচ লুফে নেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। নবম ওভারের তৃতীয় বলে গোল্ডেন ডাকে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিমও। কোনঠাসা বাংলাদেশ পড়তে পারত আরও বিপদে। অক্ষরের করা নবম ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন জাকের আলী অনিক। তবে, ক্যাচ মিস করেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাতে, মিস অক্ষরের হ্যাটট্রিক করার সম্ভাবনা।
এরপরই নিজেদের মেলে ধরেন বাংলাদেশের দুই তরুণ তুর্কি জাকের আলী ও তাওহিদ হৃদয়। ভারতীয় বোলারদের দেখেশুনে একটু একটু করে চালিয়ে যান ইনিংস মেরামতের কাজ। দুজন মিলে হতাশায় ফেলেন ভারতের বোলারদের। ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেট ভারত ফেলে ১৮৯ রানে। জাকের-হৃদয় জুটিতে আসে ১৫৪ রান। ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। আর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতেই সর্বোচ্চ। রেকর্ড গড়ে জাকের ফেরেন ৬৮ রানে। সময়ের চাহিদা মিটিয়ে ১১৪ বলে ৪টি বাউন্ডারিতে ৬৮ রান করা জাকেরকে ফেরান শামি। অফ স্টাম্পের বাইরে করা বলে লং-অনে বিরাট কোহলির হাতে বন্দি হন জাকের। ওয়ানডেতে শামি তুলে নেন নিজের ২০০তম উইকেট।
জাকেরের বিদায়ে ক্রিজে আসা রিশাদ হোসেন খেলেছেন ক্যামিও। ১২ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৮ রান করে রানার বলে হার্দিক পান্ডিয়ার ক্যাচ হয়ে বিদায় নেন রিশাদ। তবে, ৮৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেওয়া তাওহিদ হৃদয় খেলেছেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পান হৃদয়। রান আউট থেকে বাঁচতে ডাইভ দিয়ে পায়ে টান পাওয়ার পরও হাল ছাড়েননি তিনি। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে টেনে নিয়েছেন দলকে। শামির বলে সিঙ্গেল