October 23, 2024 8:10 pm

ভারতকে পরাস্ত করে সাফের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

ভারতকে পরাস্ত করে সাফের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
।বাংলার মেয়েরা নামাজের প্রথমার্ধে এটি করেছে। আমি এটা ধরে রাখা ছিল. দ্বিতীয়ার্ধে সাবিনা-তহুরারা একসঙ্গে কাজটি করেন। তারা গোল না করলেও ভারতকে সুযোগ দেয়নি। আজ (২৩ অক্টোবর) নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশকে ধরে ফেলে ভারত। রক্ষণের শক্তির কারণে প্রতিপক্ষকে গোল করতে দেননি ডিফেন্ডাররা। বেশ কয়েকটি আক্রমণে সফল সেভ করতে পারেননি গোলরক্ষক রূপনা চাকমা।

টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জন্য, সমীকরণটি ছিল সহজ। সেমিফাইনালে খেলতে হলে ভারতের বিপক্ষে ড্র করতে হবে। ড্র হয়নি, বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলার মেয়েরা। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল বাংলার মেয়েরা। তারা ধীরে ধীরে আক্রমণ করে। দারুণ সাফল্য আসে। বাংলাদেশ ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় এবং প্রথমার্ধে ভারতকে কোনো সুযোগ দেয়নি।

বাংলাদেশকে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে মাঠে নামিয়েছেন কোচ পিটার বাটলার। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক বাংলাদেশ, ১৮তম মিনিটে ওপেনারকে রক্ষা করে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাংলাদেশের আক্রমণে বাধা দেয়। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা কর্নার নেয়। এখান থেকে বল পড়ে ভারতীয় পেনাল্টি এলাকায় আফিদা খন্দকারের পায়ে। আফিদা বলটি গোলরক্ষক ও পাঁচ ভারতীয় খেলোয়াড়ের মধ্যে ফ্লিক করলে বলটি জালে লেগে যায়।

গোলে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে। ২৯তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে রিতু চাকমার দুর্দান্ত ক্রস খুঁজে পান তহুরা খাতুন। দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি স্ট্রাইকার তখুর। বাংলাদেশ ২-০ এগিয়ে। ৪২তম মিনিটে দুই শামসুন্নাহারের (সিনিয়র ও জুনিয়র) যৌথ আক্রমণে বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন তহুরা। খেলার ৪২তম মিনিটে শামসুন্নাহার সিনিয়র। নিজের অর্ধেক মাঠ থেকে বল নিয়েছিলেন। শামসুন্নাহার জুনিয়র বল পাঠান তহুরার দিকে। এলাকার বাইরে থেকে দুর্দান্ত স্ট্রাইক দিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন তহুরা।

তিন গোলে পিছিয়ে থাকা ভারত 44তম মিনিটে জবাব দেয়। ভারতীয় অধিনায়ক বালা দেবী ডান দিক থেকে ডালিমারের চিপে হেডারে হেড করেন। এর আগে ওয়ানডে ম্যাচে বালা দেবীর শট রুখে দিয়ে দলকে বাঁচান বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপানা চাকমা। দলকে বিপদ থেকে মুক্ত করেছেন। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে কোন গোল না হওয়ায় এটি একটি নির্ধারক ফলাফল।