November 21, 2024 3:34 pm

নারীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে সকল সেনাবাহিনীকে গর্বিত করেছেন ল্যান্স কর্পোরাল সুজন

নারীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে সকল সেনাবাহিনীকে গর্বিত করেছেন ল্যান্স কর্পোরাল সুজন।কাজী সুজন নামে একজন সৈনিক বন্যার কারণে সমস্যায় পড়া লোকদের সাহায্য করে সত্যিই বিশেষ কিছু করেছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের ভূজপুর নামক স্থানে সাহায্য করার সময় নারীদের প্রতি অত্যন্ত সদয় ও শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।

এলাকার লোকজন জানান, ২৩ আগস্ট তিনি ফটিকছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে সহায়তা করেন। এমনকি তিনি তার হাঁটু দিয়ে মই তৈরি করেছিলেন যাতে অসুস্থ এবং গর্ভবতী মহিলারা ট্রাকে উঠতে পারে। বন্যার কারণে যারা সমস্যায় পড়েছেন তাদের জন্য তিনি খাবার ও অন্যান্য সাহায্যও দিয়েছেন।

সিঁড়িতে হাঁটু গেড়ে অসুস্থ/গর্ভবতী মহিলাদের ট্রাকে উঠতে সাহায্য করার ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷ সবাই তার মানবিক কাজের প্রশংসা করেছেন। অনেকেই ওই সৈনিককে ‘সুপারহিরো’ বলে ডাকতেন।

ভিডিওতে যেটি প্রচুর লোক দেখছে, সৈন্যরা কিছু বন্য বিড়ালকে তাদের নিরাপদ রাখতে একটি ট্রাকে তুলে সাহায্য করছে। কিন্তু কিছু মহিলা ছিলেন যারা অসুস্থ বা গর্ভবতী ছিলেন এবং ট্রাকে উঠতে পারেননি। একজন সদয় সৈনিক সাহায্য করতে চেয়েছিলেন, তাই তিনি হাঁটু গেড়ে তাদের ট্রাকে উঠার জন্য একটি ছোট্ট সিঁড়ি তৈরি করেন।

কাজী সুজন একজন সৈনিক যিনি বরিশালের গৌরনদী নামক স্থান থেকে এসেছেন। 2012 সালে স্কুল শেষ করার পরে, তিনি আর্টিলারি কর্পসে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন, যা সেনাবাহিনীর অংশ। তিনি সত্যিই বিশেষ কারণ তিনি রক্ত ​​দান করে অন্যদের সাহায্য করেন। যদিও তার রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ, যা অস্বাভাবিক, তবুও তিনি 23 বার রক্ত ​​দিয়েছেন! এ কারণে সেনাবাহিনীর সবাই তাকে সেরা রক্তদাতা হিসেবে চেনেন।

২৩শে আগস্ট ফটিকছড়ি নামক স্থানে বড় বন্যার কারণে সমস্যায় পড়া মানুষদের সাহায্য করছিলেন তিনি।

কাজী সুজন নামে একজন সাহসী যুবক সৈনিক তার মনিবের নির্দেশ মেনে চট্রগ্রামের ফটিকছড়ি নামক স্থানে বড় বন্যায় আটকে পড়া অনেক অসুস্থ ও ভীত মানুষকে বাঁচাতে নিজেকে বিপদে ফেলেন।

বন্যার পরে যারা দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের সাহায্য করার জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন।

ফটিকছড়ির লোকজন জানান, কাজী সুজন নামের এক তরুণ সৈনিকের মতোই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সৈন্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করছে।

কর্পোরাল কাজী সুজন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আমি ছাত্রাবস্থা থেকেই দেশের উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের সেবা করার জন্য আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছি। আমার শেষ রক্ত ​​বিন্দু পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *