আবারও জরুরি বোর্ড সভা বিসিবিতে, আসতে পারে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ২১ আগস্ট জরুরি বৈঠক ডেকেছে। বোর্ড সভার দিন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিসিবির নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন ফারুক আহমেদ।
এদিকে ববির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন প্রখ্যাত ক্রিকেট কোচ ও সংগঠক নাজমুল আবেদিন ফাহিম সাজাদুল আলম। বিসিবি আরেকটি জরুরি বোর্ড মিটিংয়ে অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২৯ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিকেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
বর্তমান বাস্তবতায় এবারের পরিচালনা পর্ষদের সভায়ও বিশেষ নজর দেওয়া হবে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিসিবির অধিকাংশ পরিচালক আত্মগোপনে চলে যান।
বিসিবির বোর্ড সভা করতে ৯ জন পরিচালক প্রয়োজন। পরিচালনা পর্ষদের সনদ 25 জনের পরিমাণে পরিচালনা পর্ষদের কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিতির জন্য সরবরাহ করে। এ অবস্থায় পরিচালনা পর্ষদের শেষ সভায় কোরাম বহাল রাখা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। অবশেষে নতুন দুই পরিচালক ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সহায়তায় কোরাম পূরণ হয়। বোর্ড সভায় নাজমুল হাসান পাপনের পরিচালনা পর্ষদের মাত্র আটজন পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ইসমাইল হায়দার মল্লিক, শফিউর রহমান নাদেল, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, নাজমুল পাপনের মতো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন না। আকরাম খান, সাইফুল আলম স্বপন, ফাহিম সিনহা, খালিদ মাহমুদ সুজন, সালাউদ্দিন চৌধুরী, ইফতেখার আহমেদ মিঠু, কাজী ইনাম ও মেহবুব আনাম জরুরি কাউন্সিল সভায় উপস্থিত ছিলেন। আগামী বৃহস্পতিবারের বৈঠকেও তিনি যোগ দিতে পারেন।
এদিকে সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও আবাহনীর উপদেষ্টা পাপন এখনও পরিচালকের পদে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ১৫ জন এখনও পরিচালক।
সনদ অনুযায়ী, কোনো পরিচালক পরপর তিনবার পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুপস্থিত থাকলে তার পদ শূন্য হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর তিনি পরিচালক পদে থাকবেন। আপনি যদি পরবর্তী সভায় অনুপস্থিত থাকেন তবে এই পদগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে শূন্য হতে পারে।