রাতে আন্দোলন করা ৩৫২ জন আনসার পুলিশ হেফাজতে,এবং হচ্ছে মামলা।চাকরিতে স্থিতিশীলতার কথা বলা আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এই মামলায় বৈষম্যের প্রতিবাদ করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, সামরিক কর্মীদের আহত এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা জড়িত।
গতকাল রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর অধিকাংশ আনসার সদস্য গুলির হুমকিতে সচিবালয় ত্যাগ করে। তবে ৩৫২ জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টা পর্যন্ত সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে জেনারেল আনসার সদস্যরা। পরে সমন্বয়কারীরা ফোন করলে অফিস থেকে শিক্ষার্থীরা সাহায্য করতে আসে। এ সময় সচিবালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় আনসার সদস্যরা।
পরে শিক্ষার্থীরা চারদিক থেকে মিছিলে কার্যালয় এলাকা ঘেরাও করে। এ ছাড়া পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী জড়িত ছিল। এ সময় শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ আনসার সদস্যকে পালিয়ে যেতে দেয়। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন স্থানে আনসার সদস্যদের হামলা ও মারধর করা হয়।
পরে তিন শতাধিক আনসার সদস্যকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের শাহবাগ, রমনা, পল্টন, মতিঝিলসহ আশেপাশের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা আড়াইটার মধ্যে সচিবালয়ের গেটে গ্রেপ্তার হওয়া আনসার সদস্যদের পুলিশ ভ্যানে করে বিভিন্ন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রমনা। সরওয়ার জাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত ৩৫২ জন আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।