হঠাৎ তোপের মুখে ক্রীড়া উপেদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তারাতারি গাড়ি ঘুড়িয়ে চলে গেলেন।গত ৫ আগস্ট কোটা আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকার থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ দেড় যুগের অবসান হয়েছে।
অস্থায়ী সরকার গঠনের জন্য তখন ১৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কোথায় ডা. প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়ে গেছেন। ইউনুস। ছাত্ররা সব কিছুতেই একমত। ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়।
তিনি নিজে কখনই প্রধান উপদেষ্টা হতে চাননি। বাংলাদেশে এসেও তিনি বলতে থাকেন, আমাকে পছন্দ না করলে আমি চলে যাব।
এরই মধ্যে ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়কের উপদেষ্টা সদস্য হয়েছেন দুই ছাত্রনেতা। তাদের একজন নাহিদ ইসলাম, যিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব নিয়েছেন।
আর আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল ১১ আগস্ট তিনি গাড়িতে করে চলে যান। সেখানে একটি প্রটোকল গাড়ি ছিল। পথিমধ্যে আনসার বাহিনীর সাথে দেখা হয়। আনসার যোদ্ধারা কার্যত উপদেষ্টার গাড়ির সামনে দিয়ে তাদের দাবি তুলে ধরে।
অতঃপর সবাই স্বতন্ত্রভাবে তার কাছে তাদের দাবি পেশ করেন। কাউন্সিলর আসিফ মাহমুদ বলেন, ঠিক আছে, আমাকে লিখুন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
এই কথা বলে সে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে চলে গেল। তার গাড়ি এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে পেছনের দিকে চলে যায়। এতে আনসার বাহিনীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সবাই একেক রকম কথা বলে, কেউ কেউ বলে যে আমাদের কথা শুনছে এতক্ষণ রাস্তায় থাকা একজন মানুষ। কেন তিনি চলে গেলেন? ভয়ে সে চলে গেল। এটা কি তিনি সাধারণ মানুষের জন্য করেছেন নাকি নিজের জন্য করেছেন? এটা সবার কাছে একটা বড় প্রশ্ন।
এরপর তাদের সঙ্গে থাকা প্রটোকল ফোর্সের গাড়িটি আনসার সদস্যরা বাজেয়াপ্ত করে।
অবশেষে তারা বলে যে তারা উপদেষ্টা ছাড়া গাড়ি যেতে দেবে না, স্যার।