দেশের ক্রিকেটকে এই খারাপ পর্যায় থেকে উঠতে বিসিবিকে যে নতুন পরামর্শ দিলেন তামিম।
অল্পের জন্য বিশ্বকাপ জিতে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশকে। মাঠে বড় দলের কাছে হারার আগেই মানসিকভাবে পিছিয়ে আছে টাইগাররা। একটাই কারণ আপনি ভালো উইকেটে খেলতে অভ্যস্ত নন।
টি-টোয়েন্টিতে ১৮০ বা তার বেশি রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা এসব রান তাড়া করতে অভ্যস্ত নন। ঘরের মাঠে জয়ের মানসিকতা নিয়ে পিচ প্রস্তুত করছে ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
যেখানে সর্বোচ্চ স্কোর 150 রান। এই দৌড় অব্যাহত রেখে, চ্যান্টো-লিটন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুত হন। কিন্তু বিসিবির এই ফর্মুলা বড় দলের বিপক্ষে কাজ করবে না, অস্ট্রেলিয়া-ভারত আরও একবার প্রমাণ করল।
সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার পর ভারতের কাছে ৫০ রানে হেরেছে টাইগাররা। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ ওপেনার তামিম ইকবাল খান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দেশের ক্রিকেটের দুর্বলতাগুলো ভালোভাবেই জানেন এই ক্রিকেটার।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, বাংলাদেশ দল ভালো পিচে খেলতে অভ্যস্ত ছিল না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা দৃঢ় পিচে (মিরপুর) খেলতে অভ্যস্ত। তাই ভালো উইকেটে খেললে সেরকম রান করতে পারবে না।
“আপনাকে প্রতিটি পিচে রান করতে সক্ষম হতে হবে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী ধর্মঘট কার্যকর করতে হবে। আমার মনে হয় ভালো উইকেটে খেলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। তারা মিরপুরে যা পায় না।
তামিমের মতে, এই পিচ ঘরের মাঠে জেতার প্রয়োজনের ভিত্তিতে তৈরি। আপনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ফলাফল উপভোগ করবেন। এ প্রসঙ্গে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ এই খেলোয়াড় বলেন, আমরা শুধু বাংলাদেশে ফলাফল দেখতে চাই। আমরা যখন ভালো উইকেটে খেলা হারি, কিছু লোক পিচটিকে আরও স্পিন-বান্ধব করার চেষ্টা করে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে হলে এই মানসিকতা থেকে মুক্তি পাওয়ার পরামর্শ দেন তামিম। “কোচ, খেলোয়াড় এবং বিসিবিকেও এই ধারণা ছেড়ে দিতে হবে যে তাদের ঘরে জিততে হবে।”
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে আরও ছয় মাস হারাবো, তবে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র তৈরি করা যাক। বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যেতে পারে এটাই একমাত্র পথ।