রিয়াদের একাকী লড়াই, তবুও অসহায় হার বাংলাদেশের!ভারতের বিপক্ষেও ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটিং শক্তি। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ভয়াবহ বিপর্যয়। বিপদ মোকাবিলায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের লড়াই। প্রশ্ন উঠেছে সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্স নিয়ে। টিম ইন্ডিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং হাসিমুখে জিতেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের পর আবারও হতাশ বাংলাদেশ।
জয়ের লক্ষ্য ছিল 183, কিন্তু টাইগারদের ব্যাটিং শক্তি তাতে মেলেনি বলে মনে হয়। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে দলকে বিপদে ফেলেছেন ব্যাটসম্যানরা। সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকের আলী অনিক রানের খাতা খুলতে পারেননি। একে অপরের ব্যাটিং দেখলে ভুলে যেতে হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট!
৪১ রানে দলের ৫ম উইকেট হারানোর পর লিড নেন রিয়াদ ও সাকিব। রিয়াদ স্বেচ্ছায় এগিয়ে যান, ২৮ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৪০ রান করেন। ৮২.৩৫ স্ট্রাইক রেটে ৩৪ বলে ২৮ রান করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন সাকিব।
জায়ান্টস এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে 183 রানের লক্ষ্য রেখেছিল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সাজগড়ে সঞ্জু স্যামসন 11 বলে 11 রান সংগ্রহ করেন স্কোরবোর্ডে, শরিফুল ইসলামকে এলবিডব্লিউ বোল্ড করেন এবং 6 বলে মাত্র 1 রান করেন। এরপর ক্রিজে আসেন আরেক উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান রিশাভ পুন্ত। উইকেটে থিতু হওয়ার সাথে সাথে মেরে খেলা শুরু করেন। অন্যদিকে, অধিনায়ক রোহিত শর্মা পাওয়ারপ্লে শেষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলিদান নিয়ে ফিরে যান এবং ১৯ বলে ২৩ রান করেন। তৃতীয় উইকেটে পান্ট করে এগিয়ে নেন সূর্যকুমার যাদব।
জলে বিরতির পর নিজের হাফ সেঞ্চুরির কথা মনে পড়ে গেলেও পান্ট থামতে হয় পরেই। কেউ তাকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে নিতে পারেনি, এই তারকা ক্রিকেটার মূলত অবসর নিয়ে তার অন্যান্য সতীর্থদের জয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন। এর আগে তিনি 32 বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় 53 রান করেন।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফ্লায়ার শিবম দুবে ক্রিজে ফেরার পর রিয়াদকে বাউন্ডারি লাইনে ছয় বলে ছক্কা হাঁকাতে দেখে ধারাভাষ্যকাররা বলছেন রিয়াদকে একজন তরুণ ক্রিকেটার মনে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। 23 বলে 43 রান করে অপরাজিত এই অলরাউন্ডার। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ভারতীয় পুঁজির সংগ্রহ ১৮২ রান। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তানভীর।