এবার বন্যার্তদের জন্য হেলিকপ্টারে করে খাবার সামগ্রী পাঠালেন ব্রাজিল তারকা নেইমার।
এবার, দক্ষিণ ব্রাজিলের রিও গ্রান্ডে ডো সুল রাজ্যটি তার 80 বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হচ্ছে। শত শত শহর পানিতে তলিয়ে গেছে। এমনকি বিমানবন্দর ও ফুটবল স্টেডিয়ামও পানির নিচে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দরটিও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তারকা ফুটবলার নেইমার জুনিয়র। তাদের উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টার, ছোট বিমান এবং খাবার পাঠিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা এখন 100 টিরও বেশি এবং 250,000 এরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বন্যায় অন্তত ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবেশের সাথে সংযোগ বিঘ্নিত হয়। এই পরিস্থিতিতে তাদের সাহায্য করার উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। তারকা ফুটবলাররা তহবিল সংগ্রহের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
তবে বন্যা শুরু হওয়ার মুহূর্তে মানবিক সাহায্য পাঠান নেইমার। তিনি রিও প্রদেশে নগদও পাঠিয়েছিলেন, যদিও তিনি আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেননি। নেইমারের অনুপস্থিতিতে, নেইমারের বাবা, বড় নেইমার, সমস্ত সহায়তার কাজ নেন। ব্রাজিল স্টারের একটি ছোট বিমান দক্ষিণাঞ্চলে খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে এবং সৌদি আরব থেকে আরেকটি বড় বিমান বন্যা দুর্গতদের সাহায্যের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে নেইমার শুধু সাহায্য করতেই বসেননি, যাদের শক্তি আছে তাদের স্বদেশীদের জন্য এই বিপদে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন। তিনি নিজেই তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে জরুরি সহায়তার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন: “আমি যা করি এবং আমি কীভাবে সাহায্য করি তা প্রকাশ করতে পছন্দ করি না।” কারণ এই ধরনের কাজ হৃদয় থেকে করতে হবে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে নয়।
তাই, এই পোস্টের উদ্দেশ্য হল অন্যদেরকে আমাদের কাছে পৌঁছাতে উৎসাহিত করা। আমি আমার বিমানের সকল পাইলট এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। দূর থেকে আমরা প্রার্থনা করি যেন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। বাবা আমার যত্ন নেন এবং আমাকে সব কাজে সাহায্য করেন।
ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকবেন আল-হিলালের সেলেকাও স্ট্রাইকার। 32 বছর বয়সী এই আসন্ন কোপা আমেরিকাতেও অংশ নেবেন না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাজিল দলের চিকিৎসক ডা. তবে খুব শিগগিরই মাঠে ফেরার চেষ্টা করছেন নেইমার। সৌদি আরবে তার পুনর্বাসন চলছে।