এবার মুসলিম ক্রিকেটারদের কষ্ট বুঝতে রোজা রাখলেন ইংলিশ কোচ!ক্রিকেট বিশ্বের ভিতরে পাকিস্তানের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই ধ’র্মভীরু। তারা ইসলামী অ’নুশাসন মেনে চলতে সি’দ্ধহস্ত। খেলার মাঠে ফু’রসত পেলেই অ’নেককে দেখা যায় না”মাজ আদায় করে নিতে। এমন কাজ করে বেশ ক’য়েকবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন রিজওয়ান-বাবররা। চলছে মুস’লমানদের নিকট অত্যন্ত পবিত্র মাস রমজান।
চলতি রমজান মাসে পাকিস্তানে চলছে ফ্র্যা’ঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রি’কেট টুর্নামেন্ট পিএসএলের নবম আ’সর। পাকিস্তানের অধিকাংশ খে’লোয়াড় রমজানের রোজা রেখেই মাঠে নে’মেছেন। করেছেন অ’নুশীলনও। রোজা রেখে বেশ ক’ষ্টই হয়েছে তাদের। আর খে’লোয়াড়দের এই কষ্ট অনুধাবন করতে রোজা রাখছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি দল মুলতান সুলতানসের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করা সাবেক ইংলিশ নারী ক্রিকেটার অ্যালেক্স হার্টলি।
বিবিসি ৫ লাইভ স্পো’র্টকে রোজা রাখার বিষয়টি নি’জেই নিশ্চিত করে হা’র্টলি জানান, টিমের বাকি স’দস্যদের সঙ্গে সং’হতি প্রকাশ করতে এবং সা’রাদিন অভুক্ত থেকে মাঠে নামতে কেমন লাগে তা জা’নতেই রোজা রেখেছি। তিনি বলেন, এটা রমজান মাস এবং ছেলেরা অভুক্ত থাকছে। তাই আমি ভাবলাম, আমার জানা উচিত, মাঠে খেলতে নেমে তাদের কেমন অনুভূতি হয়।
আমার মনে হয়, এটি যৌক্তিক বলেই খেলোয়াড়রা এটা করছে, তাই আমিও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি (অভুক্ত থাকছেন)। সারাদিন রোজা রেখে তার প্রতিদিনের রুটিনে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে হার্টলিকে। রোজা রাখার অনুভূতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে হার্টলি বলেন, এটা অনেক কঠিন। সারাদিন অভুক্ত থেকে আমরা মাত্র আমাদের রোজা ভাঙলাম। আমি কিছু খে’জুর এবং সালাদ নিয়েছি। আ’মরা ভোর ৪টা প’র্যন্ত খেতে পারি এবং প’রেরদিন সন্ধ্যা ৬.৪০ পর্যন্ত আর কি’ছুই খেতে পারি না।
তার য’ত্ন নিলে নাকি সম্পদে পরিণত হবে রিশাদ : মিরাজ!
এটা কঠিন, অনেক কঠিন। তিনি যোগ করেন, আমি ভোর ৪টায় ঘুমাতে যাই এবং দিনভর ঘুমাই, কারণ আমাদের খেলা রাত ৯টায় শুরু হয়। হার্টলি তার প্রথম অ্যাসাইনম্যান্টেই বেশ সফল বলা চলে। কেননা তার দল মুলতান সুলতানস টুর্নামেন্টের ফাইনালে অবস্থান করছে। আজ সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে শিরোপার লড়াইয়ে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে তার দল।