সূর্যকুমারের ‘বিতর্কিত’ সেই ক্যাচ নিয়ে এবার যা বললেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ খেলায় একটি বড় পার্থক্য তৈরি করেছে, যদিও এটি সম্পূর্ণরূপে ফলাফল পরিবর্তন করতে পারেনি। বিখ্যাত প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ‘কিলার মিলার’ তখন ব্যাট করছিলেন, তিনি যদি ক্যাচ না হয়ে ছক্কা মারতেন, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের আরও ভালো সুযোগ থাকতে পারত। ভারত থেকে সূর্যকুমার যাদব বল হাতে সত্যিই দারুণ ক্যাচ দিয়ে হিরো হয়ে গেলেন। আফ্রিকান অধিনায়ক এইডেন মার্করামও খেলার পর ক্যাচ নিয়ে কথা বলে তুমুল আলোচনার জন্ম দেন।
খেলার শেষ ওভারে দলের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। হার্দিক পান্ড্য বলটি ডেভিড মিলারকে দেন, যিনি সেটিকে বাউন্ডারির কাছে সূর্যকুমারের দিকে আঘাত করেন। সূর্যকুমার বল ধরলেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সীমানার বাইরে চলে যান। তিনি বল ফেলেন, ফিরে আসেন এবং আবার ক্যাচ করেন। টিভি আম্পায়ার বলেছিলেন যে এটি আউট হয়ে গেছে, তবে কিছু ভক্ত মনে করেন যে তারা একটি ভিন্ন ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল দেখালে এটি আরও পরিষ্কার হত।
মিলার আউট না হলে, দলটি আরও পয়েন্ট স্কোর করতে পারত এবং হয়তো খেলা জিততে পারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৭ পয়েন্টে হেরেছে তারা। মানুষ ভাবছে কেন রেফারি সিদ্ধান্ত নিতে বেশি সময় নেননি। এছাড়াও, কেউ কেউ বলছেন যে বাউন্ডারি লাইনে একটি ভুল ছিল, যা খেলার ফলাফলকে প্রভাবিত করেছিল।
খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক মার্করামকে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেছিলেন যে তিনি এখনও রিপ্লেটি দেখেননি, তবে মনে করেন আম্পায়ার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কারণ তারা নিশ্চিত ছিলেন যে খেলোয়াড় আউট হয়েছে।
মার্করাম সুন্দরভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, কিন্তু এখনই একটি স্পষ্ট উত্তর দেননি। এটি আরও বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠে যখন ক্রিকেটের নিয়ম বলেছিল বাউন্ডারি লাইন সরানো যেতে পারে। ক্রিকেটের জনপ্রিয় বই উইজডেনে এই নিয়মের কথা বলা হয়েছে। আইসিসির নিয়ম বলে যে সীমানা চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত কিছু সরানো হলে, বাউন্ডারিটি এখনও তার আসল জায়গায় রয়েছে বলে বিবেচিত হয়।
খেলার সময় খেলার জায়গাটি কোথায় সরানো হয় তা দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হলে, এটিকে এখনই আবার জায়গায় রাখতে হবে। গেমটিতে এটি সঠিকভাবে করা হয়নি, তাই খেলা চলাকালীন নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত ন্যায্য নাও হতে পারে।