ইকবাল হোসেন ইমন ও মারুফ মৃধা বল নিয়ে কাজ সহজ করে দেন। দুজনেই ঠেকিয়ে দেন পাকিস্তানের ২০০-এর নিচের তরুণদের। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ব্যাট হাতে বাকি পথ চালিয়ে যান। অধিনায়কের ফিফটিতে দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়ান যুব কাপের ফাইনালে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল।
এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। বিকেলে একই ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ভারতীয় যুবারা। তাই এবারের ফাইনাল হবে ভারত বনাম বাংলাদেশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানের ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ৩৭ ওভার। বাংলাদেশের বোলিং শক্তির সুবাদে সাদ বাগের দল ৩৭ ওভারে ১১৬ রান করে।
বাংলাদেশ টস জিতে আজ টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে অংশগ্রহণের জন্য পাকিস্তানি তরুণদের আমন্ত্রণ জানায়। বাংলাদেশ প্রথমে পাকিস্তানকে আঘাত করে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করে। দলটি 7 রাউন্ডে প্রথম দুটি গোল করে। পাকিস্তানি ওপেনার উসমান খান ও সজিব খানকে স্কোরবুক খুলতে বাধা দেন মারুফ মৃধা।
মৃধির প্রথম স্পেলের বাকি অংশে ইমন আধিপত্য বিস্তার করেন। আল ফাহাদ ও দেবাশীষের সাথে পাকিস্তানের ব্যাটিং বিভাগকে ধ্বংস করে দেন ইমান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ পয়েন্ট করেন ফারহান ইউসুফ। রিয়াজুল্লাহ করেন ২৮ রান। সাদ ১৮ পয়েন্ট করেন। বাকি সবাই প্রায় ব্যর্থ ছিল.
বাংলাদেশের পক্ষে ২৪ রানে চার উইকেট নেন ইমন। ২৩ রানে মৃধার শিকার হন দুজন।
বল তাড়া করতে নেমে ১৬৭ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে বাংলাদেশ দল। দলের জয়ের পথে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইনিংস খেলেন আজিজুল হক।
অধিনায়কের ব্যাট থেকে ৬১ রান তোলে। মাত্র একটি পরাজয়ের মুখে অপরাজিত হয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই যুবক। আজিজুল 145.23 স্ট্রাইক রেটে 42 বলে 61 ডেলিভারি পূর্ণ করেন। শিহাবও খেলেছেন ২৬ রানের ইনিংস। 22.1 ওভারে 120 রান করে বাংলাদেশ যুবারা ফাইনালে তাদের টিকিট বুক করে। এখন যে খেলার নাম নির্ধারণ করবে তার অপেক্ষায় আছি। ৮ ডিসেম্বর ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। ফাইনাল হবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।