যে শিশুর কান্না মিরাজের হৃদয়স্পর্শ করেছে।দুই টেস্টেই ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট-বলে দুর্দান্ত দক্ষতা দেখিয়েছেন। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়ে তিনি ৭৭ রান করেন। দ্বিতীয় টেস্টে আরও আগ্রাসী এই তারকা। প্রথমে ফিফার, তারপর ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। সিরিজে তিনি মোট 10 উইকেট এবং 155 রান নিয়েছিলেন।
ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন মিরাজ। সিরিয়াল বিজয়ী মিরাজ তার পুরো ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি পুরস্কারের তহবিল এমন একটি পরিবারকে দিয়ে দিচ্ছেন যা কেউ হয়তো ভাবেনি! তিনি ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত এক রিকশাচালকের পরিবারকে নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেন।
কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাও ব্যাখ্যা করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। মিরাজ জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি শিশুর কান্না দেখে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি পরিবারকে সাহায্য করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
মিরাজ বলেছেন: “যখন প্রথম টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল, আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও দেখেছিলাম। আমার ছেলের সমবয়সী একটি ছেলে কাঁদছিল। তিনি বলেন, আমার বাবা নামাজ পড়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বাবা মারা গেছে, রক্ত দেখলাম। আমার বাবা ফিরে আসবে না। এই ভিডিওটা দেখে খুব খারাপ লাগলো। তারপর গ্রামে এসে পরিবারকে সাহায্য করার পরিকল্পনা করলাম। আমি জানতাম না আমি সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হব কি না, তবে আমার একটা পরিকল্পনা ছিল।”
এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিরাজ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় একজন রিকশাচালক আহত হয়েছেন। সিরিজ থেকে খেলার পুরো টাকা আমি এই রিকশাচালকের পরিবারকে দিতে চাই।