যে ভাবে পাল্টে গেল বাংলাদেশের ১৮ বছরের ইতিহাস।
বাংলাদেশ ক্রি*কেটের পঞ্চপাণ্ডব অ*ধ্যায় হয়তো অনেক আ*গেই শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু সাকিব আ*ল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিক রহিম দী*র্ঘদিন ধরেই জা*তীয় দলের অ*বিচ্ছেদ্য অংশ। তবে আজ (শনিবার) এই তিন অভিজ্ঞ তা*রকাকে ছাড়াই আ*ফগানিস্তানের বিপক্ষে সি*রিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালের পর এই প্রথম বাংলাদেশ দল এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলো।
দলের অন্য*তম অভিজ্ঞ ক্রি*কেটার মুশফিকুর রহিম আঙুলের চো*টের কারণে পুরো সিরিজ থেকে ছি*টকে গেছেন। তার পরিবর্তে ওয়া*নডে অ*ভিষেক হবে তরুণ উই*কেটরক্ষক ব্যা*টসম্যান জাকের আলী অনিকের।
অন্যদিকে, সাকিব আল হাসান রাজনৈতিক কারণে ঘরের মাঠে তার শেষ টেস্ট খেলার পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু অনুশীলনে না থাকায় এবং দল ক্যাম্পে থাকায় আফগানিস্তান সিরিজ থেকেও প্রত্যাহার করে নেন। তামিম ইকবাল ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেও অজ্ঞাত কারণে দলে ফিরতে পারেননি তিনি।
এই তিন তারকার অভিষেকের পর থেকে টানা ৩১৮টি ওয়ানডেতে সাকিব, তামিম বা মুশফিকের অন্তত একজন আছে বাংলাদেশ দলে। আজকের খেলা সেই দীর্ঘ ধারাকে ভেঙে দিয়েছে। তাদের শেষ অভিষেক ম্যাচ ছিল আগস্ট 2006 সালে যখন বাংলাদেশ সাকিব ও মুশফিক ছাড়া জিম্বাবুয়ে খেলেছিল। সেই খেলার পর তারা একসঙ্গে বা পর্যায়ক্রমে মাঠে নামেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে এই তিনজনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ব্যক্তিগতভাবে, মুশফিক রহিম দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলেছেন ২৭২টি ম্যাচ। তালিকায় রয়েছেন সাকিব (২৪৭), তামিম (২৪৩), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (২৩৪) এবং মাশরাফি বিন মুর্তজা (২১৮)। তিন ফরম্যাটে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪৬৮টি ম্যাচ খেলেছেন মুশফিক। সাকিব, তামিম ও মুশফিক একসঙ্গে ১৮০টি ম্যাচ খেলেছেন।
এই তিন তারকার অনুপস্থিতি বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটাররা তাদের প্রতিভা দিয়ে এই শূন্যতা পূরণ করার সুযোগ পেয়েছেন।