মুস্তাফিজের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে অল্পতে শেষ যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ ছিল হতাশাজনক। ফাইনাল খেলা ছিল টিকে থাকা। কারণ আনকোরা হেরে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে লজ্জিত হবে বাংলাদেশ। এমনই একটি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে যুক্তরাষ্ট্রকে বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমানের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং টিম ইউএসএ থেমে যায় কয়েক রানে।
টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রাইর স্টেডিয়ামে খেলা হারার পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্ধারিত 20 ওভারে 9 উইকেটে 104 রান রেকর্ড করে। বল হাতে ১০ রানে ৬ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। এটি টি-টোয়েন্টিতে বাঁহাতি খেলোয়াড়ের সেরা বোলিং।
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এবং তার আগে আমি বোলিং পছন্দ করতাম না। পরিবর্তে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণাত্মক হতে শুরু করে। ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীর ও আন্দ্রিস গিয়াস প্রথম জুটিতে ৪৬ পয়েন্ট করেন। গিয়াসকে বিদায় করা হলে পঞ্চম রাউন্ডে এই জুটি হেরে যায়।
সৌম্য সরকারের দীর্ঘ আঘাতে সাকিব আল হাসানকে বিদায় করা হয়। এর মাধ্যমে সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০০ উইকেট ছুঁয়ে ফেললেন। আর জিউস ১৫ বলে ২৭ রান করে ফেরেন।
সাকিবের পর স্বাগতিক শিবিরে দুবার গোল করেন মুস্তাফিজুর রহমান। আরেক ওপেনার শায়ান (১৮) বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই শর্ট বল বাতাসে উড়ে যায়।
এক ধাক্কায় নীতীশ কুমারকে নামতে দেননি মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের পেসারের কাছ থেকে মাঠে নেমে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নীতিশ। এরপর অ্যারন জোন্সকে আউট করেন তানজিম সাকিব।
দ্রুত উইকেট হারানো যুক্তরাষ্ট্রের রান রেট কমিয়ে দিচ্ছে। কোরি অ্যান্ডারসন ধাক্কা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। তবে ইনিংস বাড়িয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তিনি। 18তম ওভারে বোলিং করতে গিয়ে অ্যান্ডারসনের পাশাপাশি দুটি উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি স্পিনার যেদিন তার বোলিং শক্তি দেখিয়েছিল সেদিন বেশিদূর যেতে পারেনি ইউএস। সেটে থামে ১০৪ রানে।
বল হাতে মুস্তাফিজ ছাড়াও চার ওভারে সাত রান দিয়ে একটি করেন রিশাদ। সাকিবের শিকারও তাদের একজন। সর্বোচ্চ স্কোরার তানজিম সাকিব ৩২ রান করতে সক্ষম হন।