মানুষের উপকারার্থে আমি নিজেকে বকা শুনতেও রাজি: তামিম!সম্প্রতি মোবাইল ভিত্তিক আর্থিক সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তামিম ইকবাল। এমন কাণ্ডে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন বিসিবির কোড অব কনডাক্ট নিয়েও। কারণ বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা একাধিক ক্রিকেটার জড়িত আছেন সেই বিজ্ঞাপনের সঙ্গে। তবে এটাকে স্রেফ প্রচারণা বা বিজ্ঞাপনের অংশ হিসেবেই দেখছেন তামিম ইকবাল।
মঙ্গলবার বিকালে ফেনীতে একটি বাণিজ্যিক শো-রুম উদ্বোধনে গিয়ে ভাইরাল হওয়া সেই বিজ্ঞাপন নিয়ে কথা বলেছেন তামিম। তার মতে, কোনো কাজে যদি কিছু মানুষ উপকৃত হয় তাহলে সেটার জন্য তিনি লোকের বাজে কথা সহ্য করতেও রাজি আছেন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, নগদের এ ক্যাম্পেইনে কিছু পরিবার জমি পাবে। আমি কিন্তু পাব না।
দরিদ্র শ্রেণির মানুষরা এ জমি পেলে আমি খুব খুশি হবো। এটি মানুষের জন্যই করা। ব্যক্তিগতভাবে বকা শুনে দুইজন মানুষকে সহযোগিতা করতে পারলে সেই বকা শুনতে আমি সবসময় রাজি। আজ ফেনীতে শো-রুম উদ্বোধন করেন তামিম। এ অনুষ্ঠানে তামিমের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার ও ফেনীর ছেলে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
এদিন তাদের একনজর দেখতে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে শহরের শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক। ভ’ক্তদের এমন ভা’লোবাসায় সিক্ত তামিম বলেন, সবার সঙ্গে দেখা করতে পা’রিনি এজ’ন্য খারাপ লাগছে। এতো মানুষ আমাকে ভা’লোবাসে, এটি আল্লাহর রহমত৷ আ’জকে কথা বলতে না পারলেও সা’ইফুদ্দিনের সাথে আবার আসব।
একটি অনু’ষ্ঠানের মা’ধ্যমে সবার সঙ্গে কথা হবে, দেখা হবে। তামিম বলেন, চট্ট”গ্রাম থেকে ঢাকায় যা’ওয়ার পথে ফেনীর ওপর দিয়ে যাই। কিন্তু কখনো নামা হয়নি। ফে’নীর উ’ন্নয়ন দেখে অ’ভিভূত হয়েছি। এ শহর দেখে খুব ভালো লেগেছে। এভাবে যদি সকল জেলা শহরের উন্নয়ন হয় তাহলে দেশ অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
হেরে গিয়েও শিষ্যদের নিয়ে গর্বিত বাংলাদেশ কোচ!
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যকার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয় গণমাধ্যমে। পরের দিন সেই ফোনালাপ নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন তামিম। তখন জানা যায়, এটি একটি বিজ্ঞাপনের প্রচারণার অংশ। এরপর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।