তানজিম সাকিবদের হারিয়ে ফাইনালের দৌড়ে টিকে রইল রংপুর রাইডার্স। এর আগে ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার হকস ও অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার কাছে পরপর দুই ম্যাচে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল বাংলাদেশের রংপুর রাইডার্সের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় চলমান গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন বাঁচাতে বাংলাদেশ সময় আজ সকালে গায়ানার আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে জিততেই হতো রংপুর রাইডার্সকে। প্রভিডেন্সে স্বাগতিকদের ১৫ রানে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলেন সোহানরা।
বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সকালে পাকিস্তানের লাহোর কালান্দার্সকে হারালে ফাইনালে উঠেও যেতে পারে রংপুর রাইডার্স। শুধু ম্যাচ জিতলেই হবে না, সেই সঙ্গে রান রেটের হিসাবও মেলাতে হবে রংপুরকে।
তবে পাঁচ দলের লিগে শেষ ম্যাচ হওয়ায় রংপুরের সেই হিসাব করতে একটু সুবিধাই হবে। লিগপর্বে আর মাত্র দুটি ম্যাচ বাকি। কোনো দলেরই ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হয়নি। কাগজ-কলমের হিসাবে ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা টিকে আছে পাঁচ দলেরই।
গায়ানার আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে প্রভিডেন্সে আজ টসে জিতে ব্যাটিং নেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। গায়ানার দুই পেসার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও তানজিম হাসান সাকিবের তোপে ১৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। দক্ষিণ আফ্রিকান প্রিটোরিয়াস প্রথম ৩ উইকেট নেওয়ার পর সৌম্য সরকারকে (২) বোল্ড করেন বাংলাদেশের পেসার তানজিম হাসান সাকিব। সপ্তম ওভারে মেহেদী হাসান ইমরান তাহিরের শিকার হলে রংপুরের স্কোর ২৭/৫ হয়ে যায়।
সেখান থেকে ৬১ রানের জুটি গড়েন খুশদিল শাহ ও নুরুল হাসান সোহান। তানজিম খুশদিলকে উইকেটকিপারের ক্যাচ বানিয়ে ভাঙেন এ জুটি। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ৪৭ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৮ রান। এই ইনিংসের সুবাদে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। রংপুর অধিনায়ক নুরুল ২৬ বলে করেন ১৫ রান।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয় রংপুর। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তানজিম সাকিব নেন ২ উইকেট। অন্যদিকে গায়ানাও রান তাড়া করতে গিয়ে ২৭ রানে হারায় ৫ উইকেট। দলটি শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে অলআউট হয় ১০২ রানে। ৪৪ বলে ৩৫ রান করেন শাই হোপ। ১৮তম ওভারে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন হোপকে ফেরাতেই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় গায়ানা। রিশাদ এই ১টি উইকেটই পেয়েছেন।
রোমারিও শেফার্ডকে ফিরিয়ে গায়ানার ইনিংসের সমাপ্তি টানা কামরুল ইসলাম ১৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া মার্কিন বাঁহাতি স্পিনার হারমিত সিং ১২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১১৭ (খুশদিল ৫৮, নুরুল ১৫, হারমিত ১১, রিশাদ ১০; প্রিটোরিয়াস ৩/১৫, মোতি ২/১৭, তানজিম ২/২১, তাহির ২/২৪)।
গায়ানা: ১৯.১ ওভারে ১০২ (হোপ ৩৫, পল ১৮, মোতি ১৫; কামরুল ৪/১৩, হারমিত ৩/১২, মেহেদী ১/১৫, রিশাদ ১/২২)।
ফল: রংপুর রাইডার্স ১৫ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: খুশদিল শাহ।