মাত্র পাওয়া: মাহমুদউল্লাহর বুড়ো হাড়ের ভেলকি, ফাহিমের তাণ্ডবে বরিশালের রোমাঞ্চকর জয়

মাহমুদুল্লাহ ফাহিমের উইকেট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। জয়ের জন্য শেষ পাঁচ ওভারে বরিশালকে দরকার ছিল ৫৮ রান।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াজ 16তম ওভারে দুটি চার ও একটি ছক্কায় 19 রান করে সমীকরণ সহজ করে দেন। পরের ওভারে ফাহিম আশরাফ তিন ছক্কা ও একটি চারে ২৫ রান করেন।

দুই রানের গড়কে ধন্যবাদ, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা 11 পিচে জিতেছে।

মৌসুমের শুরুতে দরবার রাজশাহী টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে। জবাবে বরিশাল ১৯ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে।

বরিশালের মাত্র চার উইকেট এবং প্রয়োজন ছিল ৭৮ রান। বেররুডের প্রভাবে তাসগিন আহমেদ রায়ান মারাত্মকভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েন। যে দল চাপ সহ্য করতে পারে এবং এই অবস্থান থেকে জিততে পারে তা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে একটি বিরল ঘটনা। কিন্তু প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে দিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী মাহমুদুল্লাহ রিয়াজ।

তার সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের বিধ্বংসী ইনিংসে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে বরিশাল।

রাজশাহীর হয়ে ইয়াসারালি রবি 47 বলে 94 রান দিয়ে দুর্দান্ত খেললেন। এনামুল হক বিজয় ৫১ বলে ৬৫ রান করেন। বরিশালের হয়ে ৫৬ রানের একটি সফল ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। ফাহিম আশরাফের স্টিক স্কোর করেছে ৫৪ পয়েন্ট।

রাজশাহী যে বড় টার্গেট দিয়েছিল তার বিপরীতে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বরিশালের। ইনিংসের প্রথম বলে সাজঘরে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন নাজম হোসেন শান্ত। দুই ওভারে ১২ রান দিয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। চতুর্থ ওভারে আউট হন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা কাইল মায়ার্সও।

মুশফিক রহিমও এই ট্র্যাজেডি বেশিক্ষণ সামলাতে পারেননি। হাসান মুরাদের ৫১ পয়েন্টে ফিরেছে এই দলটি। ভালো শুরু হওয়া সত্ত্বেও, তাওহীদ হার্দিউই তার সংখ্যা গড়ে তুলতে পারেনি। তিনি ৬১ গোল করে দলকে বিপদে ফেলেন। এরপর খেলার নিয়ন্ত্রণ নেন মাহমুদউল্লাহ।