এশিয়ান কাপের দ্বিতীয় খেলায় নেপালকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের যুবারা। বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট পর, গ্রুপের অন্য খেলায় শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশের জায়গা নিশ্চিত হয়।
শ্রীলঙ্কাও টানা দুই জয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। গ্রুপ আধিপত্যের লড়াইয়ে আগামীকাল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ নেপালকে ১৪১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজিজুল হাকিমের দল ২৮.৪ ওভারে সিরিজ শেষ করে।
আফগানদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক আজ ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৭২ বলের ইনিংসে দুটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান আজিজুল। তার ওপেনার সঙ্গী জাওয়াদ আবরার তার দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯০ রানে ৫৯ রানে আউট হন। কালাম সিদ্দিকী দলের সাথে ফিরে এসে প্রথম ওভারের শেষ বলে রান করার পর জাওয়াদ ও আজিজুল স্কোর সমান করেন।
জাওয়াদের ফেরার পরের বলেই নেপালের তারকা স্পিনার যুবরাজ খাত্রী শিহাব জেমসকে হ্যাটট্রিকে ফেরত পাঠান। ফরিদ হাসান তার হ্যাটট্রিক মিস করলেও পরে খত্রির ক্রস দিয়ে ফিরে যান।
ফরিদের পরের বলে রিজান হোসেনকে ফেরত পাঠিয়ে হ্যাটট্রিকের আরেকটি সুযোগ পান নেপালি বোলার। তবে ওভারের শেষ দুই বলে ফরিদ-রিজানকে ফেরত পাঠানোর কারণে খত্রি সেই সুযোগ পাননি। হেমন্ত দামির পরের ওভারে প্রয়োজনীয় ৭ রান দিলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জয় পায়।
এর আগে নেপালের প্রথম ৭ উইকেট ৯৩ রানে তুলেছিল বাংলাদেশের জুবরা। উত্তম মাগার ও অভিষেক তিওয়ারির ৩৬ রানে দলকে ১৪০ পেরিয়ে যায়।
মাগার ও তিওয়ারি ২৯ রান করেন। তবে দলের সর্বোচ্চ স্কোর ৪৩ রান ওপেনার আকাশ ত্রিপাঠীর। বাংলাদেশের সাত বোলারের মধ্যে একমাত্র দেবাশিস দেবই উইকেট পাননি। দুটি করে উইকেট পান আল ফাহাদ, ইকবাল হোসেন ও রিজান হোসেন।