September 19, 2024 5:22 pm

বোর্ড কর্তাদের দাঁড়ায়ে পরিচয়পর্ব, ক্রীড়া উপদেষ্টার আচরণপ ক্ষুদ্ধ ভক্ত সমর্থকরা, যা বলছে বিসিবি

বোর্ড কর্তাদের দাঁড়ায়ে পরিচয়পর্ব, ক্রীড়া উপদেষ্টার আচরণপ ক্ষুদ্ধ ভক্ত সমর্থকরা, যা বলছে বিসিবি।
প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরি ছাড়ার পর দেশ পরিচালনার জন্য অস্থায়ী নেতাদের একটি দল তৈরি হয়। দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, আসিফ মাহমুদ সজিব এবং নাহিদ ইসলাম, যারা অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সহায়তা করেছিলেন, 17 জন নেতার এই দলে উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আসিফ মাহমুদ সজিবকে তরুণ-তরুণী ও খেলাধুলার বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

গত ১১ আগস্ট রোববার মন্ত্রণালয়ে নতুন চাকরি শুরু করেন আসিফ। ওই দিনই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বস নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনসহ সাতজন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, কাজী এনাম আহমেদ, ইফতেখার রহমান মিঠু, জালাল ইউনুস, মাহবুব আনামরা।

ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলতে এসেছিলেন তারা। চলতি বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে হবে নারী বিশ্বকাপ। তারা নিশ্চিত করতে চেয়েছিল যে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে চলছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও চলছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিসিবির বসকে মন্ত্রণালয়ের একজন নবীন হেলপারের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লোকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। প্রথমে পরিচালক কাজী এনাম আহমেদ উঠে দাঁড়িয়ে বললেন তিনি কে। এরপর জালাল ইউনুস, মাহবুব আনাম, খালেদ মাহমুদ, আকরাম খান একে একে উঠে নিজেদের পরিচয় দেন।

সেই মুহূর্তের ভিডিওটি ফেসবুকে সত্যিকারের জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে প্রচুর মানুষ অনলাইনে এটি সম্পর্কে কথা বলতে শুরু করে। কেউ কেউ বলেছেন, নতুন উপদেষ্টার আরও নম্র হওয়া উচিত ছিল। অন্যরা বলেছিল যে তারা দুঃখিত বোধ করেছে কারণ তাকে খুব গর্বিত মনে হয়েছিল।

কেউ কেউ মনে করেননি আসিফ মাহমুদ কোনো ভুল করেছেন। আসিফ অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে লড়াই করা একটি ছাত্র দলের নেতাদের একজন এবং তিনি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে পরামর্শও দেন। তারা বিশ্বাস করে যে এটি গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে কে বসে আছে তা নিয়ে নয়, বরং চেয়ারকে সম্মান করার বিষয়ে। ওইদিন সেখানে থাকা বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠুকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিন্ন মত দেন।

দেশটির গণমাধ্যমকে মিঠু বলেন, “শুরুতে সিইও পরিচয় দিলে তিনি দাঁড়িয়ে যান। ইনাম তখন প্রথমে উঠে সালাম দিতে থাকে। পরে জালাল ভাই, মাহবুব ভাই, ববি ভাই, আমি এবং অন্য সবাই একই কাজ করেছি। প্রথম যেদিন নতুন উপদেষ্টা অফিসে এলেন, তিনিই প্রথম আমাদের সাথে একটি মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন, যা ছিল একটি বড় সম্মান। এখন উপদেষ্টার দোষ নেই।