
![]()
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এবার দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড যার।
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে হংকং-চায়নার বিপক্ষে এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান। শনিবার কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত ‘এ’ গ্রুপের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বাংলাদেশের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড গড়েন।হংকং চায়নার দেওয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হাবিবুর ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তোলেন।
⚡ দ্রুততম সেঞ্চুরি ও ফিফটির রেকর্ড
হাবিবুর তার ইনিংস দিয়ে বাংলাদেশের দুটি রেকর্ড ভেঙেছেন:
দ্রুততম সেঞ্চুরি: ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে তিনি পারভেজ হোসেন ইমনের রেকর্ড ভাঙেন। ২০২০ সালের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ইমন ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন, যা এতদিন পর্যন্ত স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল।
দ্রুততম ফিফটি: সেঞ্চুরির আগে, মাত্র ১৪ বলে ফিফটি করে তিনি শুভাগত হোমের রেকর্ডও নিজের করে নেন। ২০১৯ সালে শুভাগত হোম ১৬ বলে ফিফটি করার রেকর্ড গড়েছিলেন।
🔥 বিস্ফোরক ব্যাটিং ও ম্যাচের ফলাফল
হাবিবুর রহমান সোহান তার ১০০ রানের ইনিংসে ১০টি ছক্কা এবং ৮টি চার মেরেছেন। তার এই বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের সুবাদে বাংলাদেশ ‘এ’ দল মাত্র ৮ উইকেটে এবং ৫৪ বল বাকি থাকতেই হংকং-চায়নাকে উড়িয়ে দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে।
ইনিংসের শুরু থেকেই হাবিবুর ছিলেন আক্রমণাত্মক। প্রথম ওভারেই তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি বিশাল ছক্কা। অন্যদিকে, অন্য ওপেনার জিসান আলম ছিলেন নীরব দর্শক। ওপেনিং জুটিতে ৬.৩ ওভারে ১১১ রান আসলেও জিসানের অবদান ছিল মাত্র ২০ রান।
🎯 অল্পের জন্য বিশ্বরেকর্ড হাতছাড়া
একসময় হাবিবুরের সামনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড (৩০ বলে) গড়ার সুযোগ এসেছিল। তিনি ২৪ বলে ৮৮ রানে পৌঁছে যান। পরের দুই বলে দুটি ছক্কা মারতে পারলেই কাজটি সহজ হতো। কিন্তু, ওই মুহূর্তে হয়তো সেঞ্চুরির কথাই বেশি চিন্তা করেন, যার ফলে তার ব্যাটিংয়ের গতি কিছুটা কমে যায় এবং শেষ ১২ রান করতে তিনি খরচ করেন ১১টি বল।
৩৫তম বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিনি তিন অঙ্কের ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেন। একই ওভারে অধিনায়ক আকবর আলীও দ্রুতগতিতে ব্যাট চালিয়ে ১৩ বলে ৬ ছক্কায় ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং জয় নিশ্চিত করেন।
💔 বোলিংয়ে দুর্বলতা
যদিও ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল দুর্দান্ত ছিল, তবে বোলিং ছিল কিছুটা দুর্বল। বিশেষত ইনিংসের শেষ দিকে তারা অনেক রান বিলিয়ে দেয়। প্রথম ১০ ওভারে হংকং-চায়না ৬৫ রান করলেও, পরের ১০ ওভারে তারা আরও ১০২ রান তোলে। দলের হয়ে বাবর হায়াত ৪৯ বলে ৬৩ রান করেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আবু হায়দার ৪ ওভারে ৪৫ রান এবং রাকিবুল হাসান ৩৫ রান দেন। আবু হায়দার তার শেষ ওভারে ২৬ রান দিয়েছিলেন।
পরবর্তী ম্যাচ: বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পরের ম্যাচ ১৯ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে।
আমি এই লেখাটিকে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে লিখেছি। আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।



