ফেনীতে অসহায় বানভাসি মানুষের বাঁচার আকুতি, উদ্ধারে বিজিবি, সেনাবাহিনী।ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগল উপজেলায় ভারি বর্ষণ ও বন্যার কবলে পড়েছে ভারতের উচ্চাঞ্চল। মুখুরি, কাউয়া ও সিলন নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ।
এই ভয়াবহ বন্যায় বাস্তুচ্যুত মানুষকে উদ্ধারে বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটা থেকে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসন বন্যা কবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে সহযোগিতা করতে আগ্রহী ছিল। এরপর তারা নৌকায় করে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। একই সঙ্গে বিজিবি সদস্য ও এলাকার স্বেচ্ছাসেবকদের পরিবারের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন।
পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা আবদুর রহমান জানান, এমন ভয়াবহ বন্যা তিনি আগের জীবনে দেখেননি। বন্যা সময়ের সাথে সাথে আরও খারাপ হচ্ছে। অবিরাম বর্ষণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।
রাসেল নামের এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইতোমধ্যে সহায়তা দিচ্ছে। তবে প্রবল স্রোতের কারণে পরশুরামে পৌঁছানো অসম্ভব। তবে আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন। টানা বৃষ্টির কারণে সব জায়গায় পানি জমে গেছে।
ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে জানান, ফেনীতে টানা তিন দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বুধবার থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই এলাকায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফেনীর জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিনা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী স্পিডবোট ব্যবহার শুরু করেছে। শীঘ্রই তাদের সাথে একটি কোস্টগার্ড দল যোগ দেবে। এ ছাড়া বিজিবি ও স্বেচ্ছাসেবক দল আটকে পড়াদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসতে সকাল থেকেই কাজ করছে।