December 22, 2024 11:35 pm

নেপালকে কাঁদিয়ে সাফের চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ

নেপালকে কাঁদিয়ে সাফের চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।ঘরের মাঠে খেলায় নেপালের জয়ের আশা ছিল। তারা সবাই ভেবেছিল দল ভালো করবে! কিন্তু তখন বাংলাদেশের দুই খেলোয়াড়, একটি গোল করা আসিফ হোসেন এবং খেলা জেতাতে সহায়তা করা মিরাজুল ইসলাম সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফলাফল পাল্টে দেন।

মিরাজুল দুটি গোল করেন, এবং তার সতীর্থ একটি গোল করেন। খেলার একেবারে শেষের দিকে শেষ গোলটি করেন পিয়াস আহমেদ। যার কারণে নেপালের বিপক্ষে চার গোলে জিতে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ!

আজ, ২৮ আগস্ট, বাংলাদেশ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলায় নেপালের বিপক্ষে খেলেছিল এবং ৪-১ গোলে জিতেছিল। নেপালের একমাত্র খেলোয়াড় ছিলেন সামির যিনি গোল করেছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে রাব্বি হোসেন রাহুল ও পিয়াস আহমেদ দুটি করে গোল করেন এবং মিরাজুলও গোলে সহায়তা করেন।

বাংলাদেশ এর আগে তিনবার বিশেষ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে, কিন্তু প্রতিবারই হেরেছে, যা তাদের সত্যিই দুঃখ দিয়েছে। তারা 2017 সালে নেপালের কাছে এবং তারপরে ভারতের কাছে দুইবার হেরেছে, একবার 2019 সালে এবং আবার 2022 সালে। আজ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার এবং ট্রফি জেতার একটি বড় সুযোগ ছিল। তারা সেই সুযোগটি নিয়েছিল, এবং মিরাজুল তাদের একটি দুর্দান্ত খেলায় জিততে সাহায্য করেছিল, যাতে তারা আনন্দিত এবং গর্বিত হয়!

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে বড় খেলার আগে বাংলাদেশের কাছে হারানো কঠিন দল ছিল ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল জিতে ভারতকে টুর্নামেন্ট থেকে দেশে পাঠায়। এবার ফাইনালে তাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে নেপালের। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে কারণ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছে, আর সেটি ছিল নেপালের বিপক্ষে।

আজকের বড় খেলায় মিরাজুল সত্যিই দারুণ খেলেছেন! ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে নেপালের কাছে বল বেশি ছিল এবং অনেক স্কোর করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু বাংলাদেশ তাদের থামিয়ে এবং তাদের গোল সুরক্ষিত রাখতে দুর্দান্ত কাজ করেছিল।

খেলার নবম মিনিটে নেপাল গোলের সুযোগ পেলেও বাংলাদেশের আসিফ নামের একজন খেলোয়াড় বলটি ভেতরে যেতে বাধা দেন। মাত্র তিন মিনিট পর নীরজ বাঁ দিক থেকে বলকে কিক করে গোল করার চেষ্টা করলে নেপাল আবার চেষ্টা করে। বল আটকাতে দ্রুত দৌড়ে আবারও দিন বাঁচান আসিফ।

খেলার প্রথমার্ধে বাংলাদেশ নেপালকে অনেকবার গোল করতে বাধা দেয়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তারা একটি ফ্রি কিক পেয়েছে, যার অর্থ তারা কেউ তাদের থামানোর চেষ্টা না করেই বলটি কিক করতে পেরেছে। বাংলাদেশের মিরাজুল কিক নেন এবং সত্যিই চমৎকার একটি শট নেন যা নেপালের গোলে চলে যায়। এ কারণে বিশ্রামে গেলে বাংলাদেশ খুশি ও এগিয়ে ছিল।

বিরতির পর আরও একটি গোল করে বাংলাদেশ! ৫৪ মিনিটে মিরাজুল গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। একজন সতীর্থ বল নেপালের বক্সে লাথি মারেন এবং গোলের ঠিক সামনে থাকা মিরাজুল তার মাথা ব্যবহার করে বল জালে জড়ান।

খেলার ৭০তম মিনিটে বাংলাদেশ তাদের তৃতীয় গোল করে স্কোর ৩-০ করে। এই গোলে সাহায্য করেন মিরাজুল। তিনি নিজে বলটি জালে কিক করার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু পরিবর্তে, তিনি তা তার সতীর্থ রাহুলের কাছে দিয়েছিলেন। এরপর মিরাজুলের পাস পেয়ে সহজেই গোল করেন রাহুল।

নেপাল একটি ফুটবল খেলায় তিন গোলে হেরেছিল এবং সত্যিই তা ধরতে চেয়েছিল। অবশেষে ৮০তম মিনিটে নেপালের হয়ে গোল করেন সামির। কিন্তু খেলা বদলাতে দেরি হয়ে গেল। এরপর অতিরিক্ত সময়ে পিয়াস আহমেদ গোল করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন। মারুফুল হক ও তার দল খুব খুশি এবং তাদের বড় জয় উদযাপন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *