
নতুন পে স্কেলে চিকিৎসা ভাতা বাড়িয়ে যত টাকা হতে পারে।সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রতীক্ষিত নবম জাতীয় পে স্কেল দ্রুতই আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্তমান সরকার কর্তৃক গঠিত ‘পে কমিশন’ ইতিমধ্যেই নতুন বেতন কাঠামো এবং ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার কারণে, এই পে স্কেলে চিকিৎসা ভাতা এবং শিক্ষা ভাতার মতো মৌলিক বিষয়গুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
🩺 চিকিৎসা ভাতা: ১,৫০০ থেকে কত হতে পারে?
বর্তমানে একজন সরকারি কর্মচারী মাসিক ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। নতুন স্কেলে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের জমা দেওয়া প্রস্তাবনা অনুযায়ী চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির জন্য তিনটি প্রধান প্রস্তাব বিবেচনাধীন রয়েছে:
প্রথম প্রস্তাব: বর্তমানের ১,৫০০ থেকে সরাসরি বাড়িয়ে ২,৫০০ করা।
দ্বিতীয় প্রস্তাব: দ্রব্যমূল্যের চাপ সামলাতে এটি বাড়িয়ে ৫,০০০ বা কিছু গ্রেডের জন্য ₹৬,০০০ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
তৃতীয় প্রস্তাব (সর্বোচ্চ দাবি): কর্মচারীর মূল বেতনের ১০ শতাংশ হিসেবে চিকিৎসা ভাতা নির্ধারণ করা।
বিশেষ বিবেচ্য: পে কমিশন শুধুমাত্র চাকরির সময়কালের জন্যই নয়, বরং অবসর-পরবর্তী সময়ের জন্যেও চিকিৎসা সুবিধার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
💰 সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের প্রস্তাবনা:
নতুন পে স্কেল নিয়ে আলোচনায় সর্বনিম্ন (২০তম গ্রেড) মূল বেতন ৩৫,০০০ টাকা করার একটি বড় প্রস্তাব রয়েছে। অন্যদিকে, বিভিন্ন ফেডারেশন সর্বোচ্চ বেতনের সিলিং ১,৪০,০০০ টাকা বা তারও বেশি করার দাবি জানিয়েছে।
📚 শিক্ষা ও অন্যান্য ভাতা:
চিকিৎসা ভাতার পাশাপাশি সন্তানের শিক্ষা ভাতা এবং টিফিন ভাতা-ও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর সুপারিশ করা হবে। বর্তমান বেতন কাঠামোর কিছু বৈষম্য দূর করে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ কাঠামো তৈরি করাই এই কমিশনের প্রধান লক্ষ্য।
🗓️ কবে নাগাদ চূড়ান্ত ঘোষণা?
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, পে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই জমা দেওয়া হতে পারে। এরপর দ্রুততম সময়ে গেজেট আকারে নতুন পে স্কেল প্রকাশ ও কার্যকর করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন পে স্কেল ২০২৬ সালের শুরু (জানুয়ারি/মার্চ/এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হতে পারে।



