November 22, 2024 5:07 am

দুই হাত এবং ডান পা নেই, তবুও বাঁ পায়ে লিখেই যে পরীক্ষা দিচ্ছেেন

দুই হাত এবং ডান পা নেই, তবুও বাঁ পায়ে লিখেই যে পরীক্ষা দিচ্ছেেন।নাম রাসেল মৃধা, বাড়ি নাটোর, বয়স (১৯)। জন্মের পর থেকেই দুই হাত ও ডান পা নেই। কিন্তু রাসেল থামেননি। রোববার (৩০ জুন) থেকে আলিম বাম পায়ের লেখার পরীক্ষা দেবেন।

বেলা ১১টার দিকে রোববার নাটোর শহরের আল-মাদরাসাতুল জামহুরিয়া কামিল মাদ্রাসার কেন্দ্রে রাসেলের হাত দুটি নিখোঁজ অবস্থায় পাওয়া যায়। ডান পা নেই। একটি মাত্র বাম পা আছে। তবে এটি স্বাভাবিক আকারের তুলনায় অনেক ছোট। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও শেখার প্রবল আগ্রহ রয়েছে তার। তাই রাসেল মৃদা নামের প্রতিবন্ধী প্রার্থী আলিমের পরীক্ষায় হাতের আঙুলের মাঝে কলম নিয়ে হাজির হন।

রাসেল সিংড়া পৌরসভার শোলাকুর মহল্লার দিনমজুর আব্দুর রহিম মৃধার ছেলে ও শোলাকুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ছাত্র। তার দারিদ্র্য সত্ত্বেও তার দরিদ্র পিতামাতারা প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধার শিক্ষার প্রতি বিশেষ আগ্রহকে স্বীকৃতি দিতে কখনই ক্ষান্ত হননি। তার উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন আজ পূরণ হচ্ছে।

আব্দুর রহিম মৃধা বলেন, আমার ছেলের লেখাপড়ার আগ্রহ দেখে আমি দিনমজুরের কাজ করি। একদিন একটা ছেলে লেখাপড়া করে আমাদের মুখ আলোকিত করবে।

নাটোরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (বর্তমানে রাজশাহী জেলা প্রশাসক) শামীম আহমেদ যখন শুনলেন যে তিনি দাখিল লিখিত পরীক্ষায় গড়ে ৩.৮৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তখন তিনি তাকে এবং তার বাবা-মাকে অভিনন্দন জানাতে মিষ্টি ও ফুল নিয়ে রাসেলের বাড়িতে যান। এবং তাকে তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উত্সাহিত করুন।

শোলাকুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোতারফ হোসেন বলেন, “রাসেল মৃধা তার আগের পরীক্ষাগুলো উড়ন্ত রং নিয়ে পাস করেছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে রাসেল এবারও ভালো ফল করবে। নিজেকে শিখে এবং প্রমাণ করার পরে, তিনি কেবল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্যই নয়, দেশের সমস্ত বাসিন্দাদের জন্যও রোল মডেল হয়ে উঠবেন।

আল-মাদরাসাতুল জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্র, লক্ষ্মীপুর আলিম মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মাওলানা জয়নাল আবেদীন জানান, রাসেল মৃদার প্রচেষ্টা ও চমৎকার লেখা দেখে তিনি অভিভূত। তিনি তার মহান সাফল্য কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *