দারুণ খবর :ভারতকে পরাজিত করে সাফ ফাইনালে বাংলাদেশ!সাফ অ*নূর্ধ্ব-২০ টু*র্নামেন্টের সে*মিফাইনালে ভার*তকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আজ নেপালের কা*ঠমান্ডুতে টা*ইব্রেকারে ভার*তের কাছে ৪-৩ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে ১:১ এ খেলা শেষ হয়।
মো. দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আসিফ। বাংলাদেশের টাইব্রেকার জয়ের নায়ক আসিফ। তিনি ভারতের প্রথম স্ট্রাইক রুখে দেন। এভাবে টাইব্রেকারে শুরু থেকেই এগিয়ে বাংলাদেশ। টানা চার গোল করে ভারতকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভার থেকে ভারতের রান করা উচিত ছিল। প্রথম শটটির পাশাপাশি পঞ্চম শট ঠেকিয়ে বাংলাদেশের ফাইনালে সিলমোহর দেন গোলরক্ষক আসিফ।
এর আগে, উভয় দলই খেলার শুরু থেকেই বারবার আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ ব্যবহার করত। ভারত বেশি আক্রমণ করলেও হিটিং দক্ষতার অভাবে গোল করতে ব্যর্থ হয়। দুর্দান্ত কম্বিনেশন আক্রমণে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। খেলার 36তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে একটি ক্রস পুরোপুরি বাঁচাতে পারেননি ভারতীয় গোলরক্ষক। পোস্টের সামনে দাঁড়ানো আসাদুল মোল্লা শীতলভাবে বল জালে পাঠান।
ভারতের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই লিড নেয় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে এগিয়ে যেতেই বাংলাদেশ নিজেদের লিড বাড়ানোর চেষ্টা করে। ভারতও স্কোর সমান করার সুযোগ পেয়েছিল। 45 মিনিট পর আর 5 মিনিটের জন্য স্কোর পরিবর্তন হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ভেঙে পড়ে। ভারত বাংলাদেশের রক্ষণভাগে বেশ কয়েকবার অনুপ্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণ বেশ কয়েকবার এগিয়ে এসে বল মিস করেন। ৬৫ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। সিনিয়র দলে খেলেও শ্রাবণ আজ পুরোপুরি নড়বড়ে ছিল।
গোলরক্ষক বদলানোর পর বাংলাদেশ গোল হারায়। নির্ধারিত আক্রমণের পর ৭২তম মিনিটে সমতায় ফেরে ভারত। সমতার পর বাংলাদেশকে আরও চাপে ফেলে ভারত। সময় শেষে বাংলাদেশ মনোযোগী রক্ষণে। পঞ্চম স্টপেজ টাইমে মাঝপথে কর্নার নেয় বাংলাদেশ। যাইহোক, এই কোণ ভীতিকর ছিল না. উল্টো অবস্থায় শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখেন বাংলাদেশি ফুটবলার। নির্ধারিত সময়ে ড্র হলে, টুর্নামেন্টের নিয়মানুযায়ী খেলা সরাসরি টাইব্রেকারে চলে যায়।