দলে ফেরার পর যা টুইট করলেন মোহাম্মদ আমির।
গত মাসে, আমির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে অবসর থেকে বেরিয়ে আসার আগ্রহ নিশ্চিত করেছেন। পাকিস্তানে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই খেলোয়াড়কে। এরপর জাতীয় দলে তার ফেরার অপেক্ষা ছিল অধীর আগ্রহে।
আজ (মঙ্গলবার) আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৭ সদস্যের দলে অবশেষে সুযোগ পেলেন আমির। একই অবসর থেকে ফিরেছেন তারকা অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিমও।
2020 সালে, আমির তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক এবং বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসের সাথে বিরোধের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। তারপর তিনি বলেছিলেন যে কোচরা তাকে বিরক্ত করেছে। এরপর থেকে আমির অনেকটা সময় পাকিস্তানের বাইরে কাটিয়েছেন।
অবসরের সময় পিসিবি প্রধান ছিলেন রমিজ রাজা। তার বিদায়ের পর থেকে আমিরের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে বেশ কয়েকবার। গত মাসে তিনি নিজেই বলেছিলেন যে জাতীয় দলে ডাক পেলে তিনি খেলতে প্রস্তুত।
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাকিব, তামিমরা, মুশফিক মিরাজ ও তাদের পরিবার
আমির ও ইমাদের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ বলেন, “অন্যরা ইনজুরিতে থাকায় এবং ভালো ফর্মে থাকায় ইমাদ ও আমিরকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা একটি সহজ সিদ্ধান্ত ছিল।” মোহাম্মদ নওয়াজকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমির ও ইমাদ জিততে পারে এমন খেলোয়াড়। আমরা বিশ্বাস করি তারা দলের লক্ষ্য অর্জনে ভালো পারফর্ম করবে।
দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর দলে ফিরে আমির তার টুইটার অ্যাকাউন্টে জাতীয় দলের জার্সি পরা নিজের একটি ছবি শেয়ার করেছেন। এতে তিনি ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বলে স্বাক্ষরও করেন। বাংলায় এর অর্থ কী: “আল্লাহর নামে, পরম করুণাময়, করুণাময়” (শুরু)। এটি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে একটি নতুন সূচনা করে।
2010 সালের ইংল্যান্ড সিরিজে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য আমিরকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। প্রতিভাবান এই বোলার ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আগের ছন্দে ফিরেছেন তিনি। আমির পাকিস্তানের হয়ে মোট ১৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। সূত্র: ঢাকা পোস্ট