তাসকিন ও সাইফউদ্দিনদের বোলিং তোপ সামলিয়ে জিম্বাবুয়ের পুঁজি ‘১২৪’।টি-টোয়েন্টিতে ৪১ রানের মধ্যে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়া মানে ম্যাচ প্রায় ওখানেই শেষ। তবে এমন পরিস্থিতি থেকেই এবার ঘুরে দাঁড়ালো জিম্বাবুয়ে। দারুণভাবে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে শেষ দিকটায় লড়াই চালিয়েছে জিম্বাবুয়ে। শেষমেশ দাঁড় করিয়েছে ১২৪ রানের পুঁজি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। ২ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তাকে ফিরিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। পরে তিনে নামা ব্রায়ান বেনেট এবং টিকে থাকা ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে লম্বা হয়নি তাদের জুটি। দলের ৩৬ রানের মাথায় ১৪ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন অভিষিক্ত গাম্বি। সেই যে শুরু, এরপর থেকে একের পর এক উইকেট হারাতেই থাকে জিম্বাবুয়ে। ১৫ বলে ১৬ রান করে আউট হন বেনেট। বাকিরা যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। যেন কার আগে কে সাজঘরে ফিরবেন সে প্রতিযোগিতা।
টাইগারদের বোলারদের ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে মাথানত করে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ১/৩৬ থেকে হুট করে ৭/৪১ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এরপর প্রতিরোধ গড়েন ক্লিভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দারুণ দায়িত্বশীলতার সাথে ব্যাট চালিয়েছেন দুজন।
আর তাদের ব্যাটে চড়েই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে জিম্বাবুয়ে। ৮ম উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ৭৫ রান। ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন মাদান্দে। ৩৮ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন ওয়েলিংটন। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ১২৪ রান তুলে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।