চেন্নাইয়ের হয়ে শেষ জয়টা নেয়া হলো না মোস্তাফিজের।চলমান আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে চেন্নাইয়ের জার্সিতে মোস্তাফিজুর রহমান ভালো শুরু করেছিলেন। তবে এবারের আইপিএল শেষ হয়েছে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। কিন্তু এই টাইগার পেসার তার বিদায়ী খেলা শেষ করতে পারেননি জয় দিয়ে। দশম ম্যাচে পাঞ্জাবের কাছে সাত উইকেটে হেরেছে চেন্নাই।
বুধবার (1 মে) পাঞ্জাবকে 163 রানের লক্ষ্য দিয়েছে চেন্নাই। জবাবে পাঞ্জাব সাত উইকেট ও ১৩ বল হাতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। এটি ছিল দলের চতুর্থ জয়।
কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাঞ্জাব। সাজগড়ের হয়ে ফেরেন প্রভসিমরান সিং ১০ বলে ১৩ রান করে। জনি বেয়ারস্টো এরপর রিলি রুশোর সঙ্গে রান করতে থাকেন। এই দুজনের জয়ে জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে পাঞ্জাব।
কিন্তু ফিফটি করে ফিরতে হয় দুই ব্যাটসম্যানকেই। 30 বলে 46 রান করে বেয়ারস্টো আউট হয়ে গেলেও 23 বলে 43 রান করে তাকে অনুসরণ করেন রুসো।
শশাঙ্ক সিং এবং স্যাম করণ তখন পাঞ্জাবে ক্যাম্প চালান। শেষ পর্যন্ত, শশাঙ্কের 26 বলে 25 রান এবং 20 বলে অপরাজিত 26 রান পাঞ্জাব 13 বল হাতে রেখে সাত উইকেটে জিততে সাহায্য করে।
চেন্নাইয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর, রিচার্ড গ্লিসন ও শিবম দুবে।
এর আগে ওপেনার অজিঙ্কা রাহানে ও ঋতুরাজ গায়কওয়াড় ব্যাটিংয়ে হেরে চেন্নাইকে দারুণ সূচনা এনে দেন। দুজনেই ৬৪ রানের অবদান রাখেন। কিন্তু ইনিংস আর বাড়াতে পারেননি রাহানে। 24 বলে 29 রান করে সাজগড়ে ফেরেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
সেদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে ব্যর্থ হন শিবম দুবে। 9তম ওভারে ডাক পড়েন এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান। তাকে সঙ্গ দেন রবীন্দ্র জাদেজা ৪ বলে ৪ রান করেন। ছন্দ হারিয়েছে চেন্নাই, ৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে। কিন্তু গায়কওয়াদ এগিয়ে থাকতে থাকেন এবং গোল করতে থাকেন।
৪৪ বলে ফিফটি করেন চেন্নাই অধিনায়ক। তার সঙ্গে ছিলেন সমর রিজভী, যিনি 23 বলে 21 রান করেন। ৪৮ বলে ৬২ রান করে আউট হন গায়কওয়াদ।
মুস্তাফিজ যে চলে যাবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক
চেন্নাই সুপার কিংস ধোনির 11 বলে, 14 রানের ইনিংসে সাত উইকেটে 162 রানের লড়াইয়ের পুঁজি অর্জন করে কারণ তিনি 9 বলে 15 রান করেছিলেন।
পাঞ্জাবের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার ও হারপ্রীত ব্রার। এছাড়া আরশদীপ সিং ও কাগিসো রাবাদা নেন দুটি করে উইকেট।