গুজব বন্ধে ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে তুলে নিলেন পলক। আমি স্বীকার করি যে আমি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট পরিচালনা করতে ভুল করেছি, এবং সামাজিক মিডিয়াতে মিথ্যা গুজব বন্ধ করার জন্য আমি ভাল কাজ করিনি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্তই নেবেন আমি তা মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির দায়িত্বে থাকা জুনায়েদ আহমেদ পলক সিংড়ায় এক বৈঠকে কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। শুক্রবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নাটোরের সিংড়ায় নিজ বাড়িতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন দেশের সম্পদ জনগণের এবং তা নষ্ট করা উচিত নয়। সম্পদের ক্ষতি হলেও প্রধানমন্ত্রী আত্মবিশ্বাসী যে সেগুলো পুষিয়ে নিতে পারবেন। তরুণ প্রজন্মের যে ক্ষতি হয়েছে তা ঠিক করতে সময় লাগবে।
আমি আপনাকে বলতে চাই যে আমরা যদি আমাদের কাজ সঠিকভাবে না করি তবে ছোট বাচ্চারা আমাদের পছন্দ নাও করতে পারে এবং আমাদের উপর বিরক্ত হতে পারে। আমাদের কাজ ভালোভাবে না করার জন্য আমরা সমস্যায় পড়তে পারি। আমি আমার কাজের জন্য যেকোনো পরিণতি মেনে নিতে রাজি আছি, কিন্তু এটা আমাকে কষ্ট দেয় যখন লোকেরা আমাদের ভুলের জন্য আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে। লোকেরা তার সম্পর্কে খারাপ কথা বলে এবং তার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা কোনো ভুল করলে বা কোনো ভুল করলে জনগণ তাদের ঠিক করার সুযোগ করে দেবে। তারা আরও বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করা এবং সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি বাংলাদেশকে সুরক্ষিত রাখেন। প্রত্যেককে তাদের কর্মের দায় নিতে হবে এবং বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখতে ত্যাগ স্বীকার করতে ইচ্ছুক হতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিজের ভুলের দায় নেবেন এবং জননেত্রীর যে কোনো শাস্তি তিনি মেনে নেবেন। আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে কোনো ভুলের জন্য তরুণ প্রজন্মের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। তিনি ইন্টারনেট ব্যাঘাত এবং গুজব ছড়ানো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যর্থতার জন্যও দায় নিয়েছেন। তিনি তার কর্মের জন্য যেকোনো পরিণতি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ভারতকে যে ভাবে জিততে দিল না শ্রীলঙ্কা
অ্যাডভোকেট অহিদুর রহমান শেখ সিংড়ায় মারা যাওয়া একজনের স্মরণে এক সভায় নেতৃত্ব দেন। জান্নাতুল ফেরদৌসের মতো আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারাও বৈঠকে অংশ নেন।সংবাদ সূত্র-এনটিভি।