অনান্য সংবাদ

গণভোটের বিষয়ে যে ৪টি প্রশ্নের কথা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

Loading

গণভোটের বিষয়ে যে ৪টি প্রশ্নের কথা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস।জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের মতামত নেওয়া হবে, যেখানে নাগরিকরা “হ্যাঁ” বা “না” ভোটের মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানাতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই সনদ অনুযায়ী গণভোটের ব্যালটে একটি প্রশ্ন থাকবে, যাতে চারটি প্রস্তাব একত্রে তুলে ধরা হবে।”

গণভোটের মূল চার প্রস্তাব:

১️⃣ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ জুলাই সনদে নির্ধারিত নিয়মে গঠিত হবে।

২️⃣ পরবর্তী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট—ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষ থাকবে, যা সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক অনুমোদন দেবে।

৩️⃣ নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমা, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণসহ ৩০টি সংস্কার প্রস্তাব কার্যকর করতে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।

৪️⃣ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে জুলাই সনদে উল্লেখিত অন্যান্য সংস্কারও বাস্তবায়ন করা হবে।

‘হ্যাঁ’ ভোট পেলে কী হবে?

গণভোটে যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করা হবে।
এই পরিষদ ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে এবং পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে।

প্রফেসর ইউনূস আরও জানান, জুলাই সনদের ধারাগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হবে।

এই ঘোষণার মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে—যা ভবিষ্যতের সাংবিধানিক কাঠামো নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে।

এই বিভাগের আরো সংবাদঃ