এবার 67 বলে 151 রান করে, টানা তিন সেঞ্চুরিতে তিলাক ভার্মার যে বিশ্বরেকর্ড।প্রথম ভারতীয় ব্যা*টসম্যান হিসেবে টি-টো*য়েন্টিতে দেড়শ রানের ই*নিংস খেলার পথে আরও নানা রেক*র্ডে নাম লেখালেন অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা এই ব্যা*টসম্যান।
চমকপ্রদ পারফরম্যান্স আর ব্যতিক্রমী উদযাপন দিয়ে নজর কেড়েছেন তিলাক ভার্মা। ছবি: ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম ফেইসবুক।
স্পোর্টস ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিলাক ভার্মার বিধ্বংসী দুটি সেঞ্চুরির রেশ মিলিয়ে যায়নি এখনও। এর মধ্যেই তরুণ এই ব্যাটসম্যান ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালালেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে গড়ে ফেললেন তিনি অনন্য কীর্তি।
ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি এই টুর্নামেন্টের প্রথম দিনে শনিবার হায়দরাবাদের হয়ে ৬৭ বলে ১৫১ রানের ইনিংস উপহার দেন তিলাক। রাজকোটে মেঘালয়ের বোলারদের গুঁড়িয়ে ১৪ চার ও ১০ ছক্কায় ইনিংসটি গড়েন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে নিজের আগের দুটি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কদিন আগে ৫৬ বলে অপরাজিত ১০৭ ও ৪৭ বলে অপরাজিত ১২০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এবার হায়দরাবাদের হয়ে এই সেঞ্চুরি তিনি গড়লেন বিশ্বরেকর্ড।
20 ও*ভারের স্বীকৃত ক্রিকেটে টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চু*রি করা প্রথম ব্যা*টম্যান তিনিই।
২২ বছর বয়সী তুমুল প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অনন্য অর্জনের শেষ নয় এখানেই। টি-টোয়েন্টিতে দেড়শ রানের ইনিংস খেলা প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যানও তিনিই।
২০১৯ সালে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতেই মুম্বাইয়ের হয়ে শ্রেয়াস আইয়ারের ১৪৭ ছিল ভারতীয় কোনো ব্যাটসম্যানের আগের সর্বোচ্চ ইনিংস।
নারী ক্রিকেটে অবশ্য এর চেয়ে বড় ইনিংস একটি আছে ভারতের। ২০২২ সালে সিনিয়র উইমেন’স টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে নাগাল্যান্ডের হয়ে ১৬২ করেছিলেন কিরান নাভগিরে।
ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে তিন নম্বরে প্রমোশন পেয়ে সেঞ্চুরি দুটি করেছিলেন তিলাক। শনিবার হায়দরাবাদের হয়েও তিনি নামেন তিন নম্বরেই। প্রথম ওভারেই ক্রিজে গিয়ে আউট হন ইনিংসের একদম শেষ বলে। মেঘালয়ের মিডিয়াম পেসার দিপু সাংমার ১৮ বল থেকেই রান নেন তিনি ৫০!
দ্বিতীয় উইকেটে ১২২ রানের জুটি গড়েন স্রেফ ৮ ওভারেই।
তিলাকের টর্নেডোতে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৪৮ রান তোলে হায়দরাবাদ। সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে যা পঞ্চম সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। হায়দরাবাদের সর্বোচ্চ এটিই।
ম্যাচের পরের ভাগে মেঘালয়কে ৬৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৭৯ রানের জয় পায় হায়দরাবাদ। ভারতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করে তারা। ২০১৯ সালে নাগাল্যান্ডকে ১৭৯ রানে হারিয়েছিল আন্ধ্রা প্রদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিলাকের ব্যাটিং গড় এখন ৫১.৩৩, স্ট্রাইক রেট ১৬১.২৫। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরি হলো এখন চারটি। ১৫১ রানের ইনিংসটির পথে এই সংস্করণে ৩ হাজার রানও পূরণ হলো তার।
আগামী আইপিএলের জন্য মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ধরে রাখা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন তিলাক। ৮ কোটি রুপিতে তাকে ধরে রেখেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।