এবার সাকিবের জন্য যে কারনে আইনি লড়াইয়ে নামবে বিসিবি।সবসময় তোমার পাশে আমার বন্ধু… যেমন লিটন-শরিফুল-শান্ত-মুমিনুল এবং মুশফিকুর রহিম অভয় সাকিব আল হাসান। এদিকে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে ক্রিকেটার সাকিবকে সহানুভূতি জানাতে ঝাঁকুনি দিয়েছেন কুব। তবে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রি*কেট বোর্ড। সাকিব আল হা*সানের বি*রুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেও*য়ার কথা ভা*বছে বিসিবি।
সম্প্রতি গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যুর পেছনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাকিবের নাম উল্লেখ করা হয়। সাকিবের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আদাবর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে যেখানে অভিযুক্ত নম্বর ২৮ একজন অলরাউন্ডার।
মামলার ২৮ নম্বর আসামি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক যিনি এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন। শাকিব ছাড়াও মামলার আসামিরা হলেন নাজমুল হাসান পাপন, আইনজীবী সেদুর রহমান সুমন, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ হেভিওয়েটরা। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রাজনৈতিক কারণেই এই মামলায় শাকিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। কারণ তিনি সরকারের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি মাগুরা ১ আসনে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। কিন্তু সরকার পতনের পর সবার মতো সাকিবও জনরোষের শিকার হন। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিরাও পালিয়েছেন। সাকিব এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে আর ফেরেননি।
সাকিবের সতীর্থরা তাকে সমর্থন করলেও বিসিবিও সাকিবের পক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিসিবি সূত্র বিডিক্রিকটাইমকে জানিয়েছে, বোর্ড সাকিবকে যতটা সম্ভব রক্ষা করতে চায় কারণ সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা তা অজানা। ফোরামেও আলোচনা চলছে। তবে আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে কোনো বাধা নেই সাকিবের।
এদিকে, কাব ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন সাকিবের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ ইতিবাচকভাবে দেখার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বলেছে। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন: “সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্কিত সমালোচনা হতে পারে।”