এবার শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে যে অন্ধ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৫ রান। শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যান চাপ সামাল দিয়ে ভালো খেলেছেন। কিন্তু মুলতানের দিনটি বাংলাদেশের। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের জন্য বিশ্বকাপ নেই। শেষ ওভারে দেন ১৮ রান। ফাইনাল বলের আগেই বাংলাদেশের অন্ধ ক্রিকেটাররা জানতেন ইতিহাস গড়বেন। শেষ পর্যন্ত ছয় রানের জয়ে টি-টোয়েন্টি অন্ধ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।
গত তিন বিশ্বকাপের জয়ী দল ভারত বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। পাকিস্তানে অন্ধ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে প্রত্যাহার করেছে মোট চারটি দেশ। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ বছর প্রতিযোগিতা একটু সহজ ছিল। তবে দিনশেষে ক্রিকেট খেলতে হবে পূর্ণ গতিতে। আর বাংলাদেশও বড় ভূমিকা রেখেছে।
মুলতানে বিশ্ব অন্ধ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় এল লিগ পর্বে। সেমিফাইনালের বড় মঞ্চেও সেভাবেই রাখলেন। স্নায়ুর তুমুল লড়াইয়ের পর ৬ রাউন্ডের ব্যবধানে জয় এসেছে। আর এই প্রথম অন্ধদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশই প্রথম শ্রীলঙ্কায় আঘাত হানে এবং এলাকায় ঝড় তুলেছিল। সালমান ও আরিফ শীর্ষ জুটি হিসেবে ১৭৭ রান যোগ করেন। তবে মোহাম্মদ সালমান ছিলেন বেশি আগ্রাসী। দুর্ভাগ্যবশত সেঞ্চুরি পাননি। তবে রানআউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে ৯৭ রান করেন তিনি।
এরপর বাংলাদেশের হয়ে এমন গোল আর কেউ করতে পারেনি। সালমানকে বিদায় করার পর, আরেক আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় আরিফ লিড অক্ষত রাখা নিশ্চিত করেন। তিনি 56 বলে 81 রান করেন। ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪৪ রান।
বাংলাদেশের বোলাররা বল হাতে শুরুটা ভালোই করেন। প্রথম ৫ ওভারেই হারিয়েছিল ৩ উইকেট। এরপর বেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ। চন্দনা দেশপ্রিয়র ব্যাট থেকে আসে ৫৪ বলে ৮৬ রানের ইনিংস। কিন্তু আগাম কেউ তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি।
শেষে বাংলাদেশের মুখে ফুটে উঠল বিজয়ের হাসি। ৩ ডিসেম্বর ফাইনালে স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দিনের অন্য সেমিফাইনালে, তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নেপালকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে।