ফুটবল

এবার ‘ভারতকে গুরিয়ে দিয়ে জয়ের শিরপা পেল বাংলাদেশ

এবার ‘ভারতকে গুরিয়ে দিয়ে জয়ের শিরপা পেল বাংলাদেশ।গত মঙ্গলবার রাতে এক দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলে পরাজিত করে বাংলাদেশ ফুটবল দল। এটি ছিল ২০০৩ সালের পর প্রতিবেশী দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়। এই ঐতিহাসিক বিজয়ের পর বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে আনন্দিত করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী।

​ভারতকে হারানোর পর কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন হামজা। বিশাল হাসিমুখে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভারতকে হারিয়ে ১৮ কোটি মানুষকে খুশি করতে পেরেছি। পৃথিবীর আর কোথাও এটা হয়তো সম্ভব নয়। তাই এটি অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্যের মধ্যে থাকবে।”
​তিনি আরও যোগ করেন, “হ্যাঁ। মানুষ খুশি। এটা একটা লম্বা সময়ের পর। প্রায় দুই যুগের কাছাকাছি। ২০০৩ সালের পর ভারতের বিপক্ষে জয় এলো ২০২৫ সালে। এই জয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই থেকে বিদায় নেওয়ার কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে। আগের ম্যাচগুলোর মতো এবার আমরা আর শেষ মুহূর্তে ম্যাচ হারাইনি বা পয়েন্ট হাতছাড়া করিনি। কারণ, আমরা বিশ্বাস করেছিলাম যে সবাই মিলে পরিস্থিতি সামলাতে পারবো। খেলোয়াড়দের জন্য এবং কোচিং স্টাফদের জন্য আমি ভীষণ খুশি। এত পরিশ্রমের পর দলটির এমন বড় কিছু পাওয়ারই কথা ছিল।”

​অনুভূতি জানতে চাইলে হামজা বাংলাতে উত্তর দেন, “খুব ভালো লাগছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা জিতেছি। আমি তো আসলে ক্যাম্পে একেবারে শেষে যোগ দিয়েছি। কোচ, কোচিং স্টাফ আর খেলোয়াড়রা প্রায় ২৩ দিন ধরে এখানে আছেন, ৫০০ ঘণ্টারও বেশি। কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন সবাই। আলহামদুলিল্লাহ, আজ তার ফল মিলেছে।”

​অনুশীলনে দেরিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে হামজা বলেন, “আমি আর শামিত একটু দেরিতে যোগ দিয়েছি। এসে শুধু কিছুটা মানসিকতা যোগ করার চেষ্টা করেছি। আজ আমরা সেই মানসিকতাই দেখিয়েছি মাঠে। শেষ চার ম্যাচে আমরা দারুণ খেলেছি, ট্যাকটিক্যালি খুব ভালো ছিলাম। তবে শেষ দিকে হোঁচট খাচ্ছিলাম। আজ উল্টোটা হয়েছে। হয়তো বল পায়ে ততটা ভালো ছিলাম না, কিন্তু দেখিয়েছি আমরা কতটা স্থিতিশীল হতে পারি। এবার সময় এসেছে দুই দিক একত্র করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার, ইনশাআল্লাহ।”

​এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত হলেও এই জয়ে কোনো খারাপ লাগছে কিনা, জানতে চাইলে হামজা কেবল বলেন, “আমরা জিতেছি ভালো লাগছে।”
​মার্চে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই ম্যাচটি এক ধরনের ফাইনাল ছিল। ২২ বছর মানুষ অপেক্ষা করেছে বড় ম্যাচ জেতার জন্য। আজ সেটাই হয়েছে। আমরা সবাই জানতাম, পারফরম্যান্স তো হচ্ছেই, দরকার ফল।

আজ হয়তো পারফরম্যান্সটা পুরোদমে হয়নি, কিন্তু ফল এসেছে। এখন মার্চে আবার নতুন করে তৈরি হবো এবং দুটিকে একসঙ্গে মিলিয়ে আরও শক্ত দল হয়ে ফিরব, ইনশাআল্লাহ।”

এই বিভাগের আরো সংবাদঃ