এবার লঙ্কান দুই সেঞ্চুরিয়ান কে সান্ত করে পাঠালেন পেসার নাহিদ রানা!কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। পিচে আঠার মতো লেগে থেকে রান করেই যাচ্ছিলেন দুই লঙ্কান ব্যাটার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। ষষ্ঠ উ’ইকেটে ২০২ রানের জুটি করে বাংলাদেশকেই ব্যাকফুটে নি’য়ে গিয়েছিলেন তারা। অবশেষে ল’ঙ্কানদের সেই জুটি ভাঙলেন অ’ভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানা। তার বাউন্সি বল ঠেকাতে গিয়ে উই’কেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ হন কামিন্দু মে’ন্ডিস। আউট হওয়ার আগেই মে’ন্ডিস হাঁকিয়ে ফেলেন সে’ঞ্চুরি। ১২৭ বলে ১০২ রান করেন এই বাঁ’হাতি ব্যাটার। মেন্ডিসের আ’উটের পর সে’ঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ধনঞ্জয়াও।
এরপর নাহিদ তুলে নিয়েছেন তার উইকেটও। ১৩১ বলে ধনঞ্জয়াও করেন ১০২ রান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫৯ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান। প্রবাথ জয়সুরিয়া ১ আর কাসুন রাজিথা ০ রানে অপরাজিত আছেন। আজ শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের তোপে প্রথম সেশনেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট শিকার করেন খালেদ।
ওভারের শেষ বলে লঙ্কান ওপেনার নিশান মাদুশকাকে তৃতীয় স্লিপের হাতের ক্যাচ বানান তিনি। ডানহাতি এই পেসারকে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাটে বলে ভালো মতো সংযোগ ঘটাতে পারেননি ওপেনার নিশান মাদুশকা (৯ বলে ২)। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় মেহেদি হাসান মিরাজের কাছে। এরপর ১২তম ওভারে জোড়া শিকার করেছেন খালেদ। ওভারের (দ্বিতীয় বল) শর্ট ও বাউন্স বলকে কাট করতে গিয়েছিলেন লঙ্কান টপঅর্ডার কুশল মেন্ডিস।
খালেদের বলিং চাপে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে শ্রীলংকা!
কিন্তু ডানহাতি এই মনে হয় পুল করতে কিছুটা দেরি করে ফেলেছেন। ফলে বল যাচ্ছিলো গালি অঞ্চলের দিকে। সেখান থেকে মেন্ডিসকে তালুবন্দি করেন জাকির হাসান। ২৬ বলে ১৬ রান করে ফেরত যান মেন্ডিস। ওই ওভারের শেষ বলে থিতু হয়ে পিচে টিকে থাকার চেষ্টায় থাকা দিমুথ করুনারত্নেকে বোল্ড করে দেন খালেদ। ৩৭ বলে ১৭ রান করেন এই বাঁহাতি লঙ্কান ব্যাটার।
খালেদের পরের ওভারেই রানআউট হন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। খালেদকে অফসাইডে ফেলে রান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন দিনেশ চান্দিমাল। সেখানে থাকা ফিল্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত আত্মবিশ্বাসী থ্রু করে স্ট্রাইকের দিকে যাওয়া ম্যাথিউসের স্টাম্প সরাসরি ভেঙে দেন।