December 4, 2024 3:40 pm

এক নজরে দেখে নিন ম্যাচসেরা নির্বাচিত হলেন যারা

কিংস্টনের সাবিনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাজুল ইসলাম দুর্দান্ত বোলিং করে বাংলাদেশকে টেস্ট জয়ের পথে নিয়ে যান।

চতুর্থ ইনিংসের নীচে, ফাইফার তার ক্যারিয়ারের 15তম শাটআউট ছিল, ঠিক যখন তার দলের তাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল। তিনি ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন এবং একজন ম্যাচ জয়ী নায়ক হিসাবে স্বীকৃত হন।

তাইজুল বল হাতে দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করেন এবং দলের জয় নিশ্চিত করেন। তাইজুল খেলার পর তার পারফরম্যান্সে খুশি এবং বলেছিলেন:

“আমি আমার বোলিং নিয়ে খুব খুশি। আলহামদুলিল্লাহ, দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি। চতুর্থ রাউন্ডে দলের আমার কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল এবং আমি সেগুলো পূরণ করতে পেরেছি। আমি খুশি।”

এই জয় শুধু তাইজুলের নয়। খেলা শেষে তিনি পুরো বোলিং বিভাগের প্রশংসা করেন। তার মতে: “এই বিজয়টি সম্পূর্ণ অপরিচিত পরিস্থিতিতে অর্জিত হয়েছিল।”

দলের সকল সদস্য তাদের সেরাটা দিয়েছেন। আমাদের রাশিং অ্যাটাক এখন দারুণ ফর্মে আছে। সে যেকোনো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।”

প্রথম ইনিংসে নাহিদ রানা, তাসগিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল নিজের অভিজ্ঞতা ও কৌশলে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপ ধ্বংস করে দেন।

তাইজুল শুধু বোলিংই নয়, ব্যাট সামলাতেও পারদর্শী। জাকার আলীর সাথে তার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব দলকে তার ফলাফল উন্নত করতে সাহায্য করেছিল।

তিনি জেকাকে 91 পয়েন্ট দিয়ে সহায়তা করেন এবং খেলার ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 11 উইকেট নেওয়া তাসগিন আহমেদ এবং 10 উইকেট নেওয়া সেলেস যৌথভাবে এই সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন।

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মেরাজ বলেন, “প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে বোল্ড আউট হওয়ার পরও কোনো নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ছিল না। প্রথম ইনিংসে আমাদের পেসাররা ভালো পারফর্ম করেছে।

এরপর দ্বিতীয় ইনিংসের শেষে দুর্দান্ত বোলিং করেন তাইজুল। আমরা সবসময় চিন্তা করি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কীভাবে আরও ভালো করতে পারি। ভুল করলেও তা থেকে শেখার চেষ্টা করুন। ”

তাজুলের পারফরম্যান্স এবং দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রমাণ করে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের শক্তি ধীরে ধীরে বাড়ছে। এই দল কঠিন পরিস্থিতিতেও লড়াই করার মানসিকতা গড়ে তোলে।