আম্পায়ারের যে ভুলে কপাল পুড়ল বাংলাদেশের।
১৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও পাস দিতে পারেননি ওথনিয়েল বার্টম্যানকে। বলটি তার প্যাডে আঘাত করে বাউন্ডারির দিকে চলে যায়। এখন পর্যন্ত এলবি বিড জমা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে রেফারি সঙ্গে সঙ্গে আঙুল তুললেন।
তবে মাহমুদউল্লাহ স্পষ্টভাবে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন। তাই রিভিউ পড়লাম। একটি টেলিভিশন রিপ্লেতে সিদ্ধান্তটি বাতিল করা হয়। রেফারি মন পরিবর্তন করে ক্ষমা চাইলেন!
কিন্তু বিচারকের এই ভুল সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ভাগ্যে পরিণত হয়। কারণ বিদায়ের পর চার রানে বাদ পড়েছিল বাংলাদেশ, যদিও সেই সময়ে সিদ্ধান্ত বদল হয়। নিয়ম অনুযায়ী, এই বল থেকে একটি রান জারি করা হলে তাকে মৃত বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে সমীকরণ পাল্টে গেলেও লো-স্কোরিং ম্যাচে সেই চার রানে হেরে মূল্য দিতে হয় বাংলাদেশকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে চার রানে হেরেছে বাংলাদেশ। নাসাউতে খেলার ভাগ্য বদলে যেতে পারত চারটি মূল রান হলে। একুশতম বিশ্বকাপের ম্যাচে রেফারির এই একক সিদ্ধান্তে কপাল পুড়ল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
আমরা ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম! আটটি পারফরম্যান্সে একবারও বিজয়ী হাসি দেখা যায়নি। এবার সেই আক্ষেপ মেটানোর সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বমঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রাউন্ডে হেরেছে। টানা তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে দুই ম্যাচের পর প্রথম পরাজয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।
21তম বিশ্বকাপের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত 20 ওভারে 6 উইকেটে 113 রান করেছে। জবাবে ধীরগতির নাসাউ উইকেটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।