আফগানদের যেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে দিলেন না তাসকিন
।৩৫ রানে চার উইকেট হারানোর পর আফগানদের নেতৃত্ব দেন হাশমতুল্লাহ শাহিদি ও গুলবাদিন নাইব। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান কানায় কানায় ফেরার চেষ্টা করে। তবে এই দম্পতিকে বড় হতে দেননি তাসকিন আহমেদ।
ইনিংসের ২০তম ওভারের শেষ বলটি খুব কাছে থেকে বোল্ড করেন তাসকিন। গুলবদীন নায়েব জানতেন না কীভাবে ব্যাট হাতে স্বাভাবিকভাবে খেলতে হয়। তানজিদ মিড উইকেটে তামিমকে ক্যাচ দিয়ে ৩২ বলে ২২ রান করেন। ৩৬ রানে পঞ্চম উইকেট নেন গুলবাদিন।
22 ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ 5 উইকেট হারিয়ে 78 রান।
এর আগে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটিকে বেশিদূর যেতে দেননি তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পাঁচ রান করা রহমানুল্লাহ গুরবাজকে আউট করেন ডানহাতি পেসার। এই স্ক্রিনসেভারটি তাসকিন বেশ কয়েকবার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। অবশ্য এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে খেলতে মানসিকভাবে একটু পিছিয়ে রয়েছেন গুরবাজু।
তাসকিনের মতো মুস্তাফিজুর রহমানও প্রথম বল করার সময় উইকেট দেখেছিলেন। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলটি স্টাম্পের ওপর দিয়ে দেন মুস্তাফিজ। বল কাটতে গিয়ে উইকেটের পেছনে আটকে যান রহমত শাহ। দুই রানের বেশি করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
নিজের পরের ওভারে আবারও ব্রেকথ্রু করেন মুস্তাফিজ। এবার তার শিকার হলেন সেদিকুল্লাহ অটল। এই জনপ্রিয় প্রথম লেগে আগেও ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। অটল অফ স্টাম্পের বাইরে বল খেলতে ব্যর্থ হয়ে সোজা পায়ে আঘাত করেন। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৩০ বলে ২১ রান করেন অভিষিক্ত ওপেনার।
দুই গোলের পর আজমতুল্লাহ ওমরজাইকেও ফেরান মুস্তাফিজ। আজমতউল্লাহ মিডল স্টাম্পের উপর থেকে সামান্য ছোট বল ফ্লিক করেন এবং আউট হওয়ার পথে এটিকে আঘাত করতে দেখেন। কিন্তু সময়টা খারাপ ছিল কারণ বল তার ব্যাটের বাইরের প্রান্তে লেগে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে পড়ে। তিন বল খেলে ডাক পান এই ব্যাটসম্যান।