September 19, 2024 5:25 pm

আওয়ামী.লীগকে নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন বাতিল প্রসঙ্গে যা বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল

আওয়ামী.লীগকে নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন বাতিল প্রসঙ্গে যা বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল। দেশের শীর্ষ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ বা নিবন্ধনমুক্ত করতে চায় না।

তিনি বলেছিলেন: “এই সরকার সংবিধানে বর্ণিত রাজনৈতিক দলগুলিকে সংগঠিত ও পরিচালনার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং যারা আগের স্বৈরাচারী সরকারের সাথে কিছু করার ছিল তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।” এর জন্য একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা অনুচিত।

বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মেহবুব উল ইসলাম আজ সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে অংশ নেন এবং মামলাটি খারিজ চেয়ে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রীয় বিচার বিভাগের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “আওয়ামী লীগের অনেক ভালো নেতা-কর্মী রয়েছে যারা তার আদর্শে বিশ্বাসী। তাই তাদের ধর্মীয় দলকে নিষিদ্ধ করা আদালতের কাজ নয়।”

শুনানিতে তিনি আরও বলেন: “তোমাদের বিচার কে করবে, আজ মানুষ জেগেছে?” ব্যাপক ছাত্র অভ্যু*ত্থানের ফলে নতুন স্বা*ধীনতার প্রে*ক্ষাপটে, সবার জন্য মত প্রকা*শের স্বাধীনতা এবং মৌলিক অ*ধিকারের নিশ্চয়তা। তাই এই সময়ে রা*জনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্ব দেওয়ার স্বা*ধীনতা বন্ধ করা যাবে না।

অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রক্ষক হিসেবে বিচার বিভাগের ওপর হামলা হলে সেটা রক্তপাতের ব্যাপার। তাই রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার জন্য মামলা করা ভুল।” অন্য কোনো রাজনৈতিক দল আদালতে এই দাবি করেনি।

এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল মামলাটি খারিজ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যান এবং বলেন, “আওয়ামী লীগ যাদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করা হয়েছিল তারা রিট পিটিশনে পক্ষপাতদুষ্ট ছিল না এবং এই রিট পিটিশনের কোনো অবস্থান নেই।” এই চিঠিটি অসহনীয়। তাই আমি রিটকারির জন্য জরিমানা (খরচ) চাইছি।

নির্বিচারে ছাত্র হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে গত ১৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়।

মানবাধিকার সংগঠন সারদা সোসাইটির পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া মামলাটি করেন। এই চিঠিতে শেখ হাসিনার নাম বহনকারী প্রতিষ্ঠানের নামও চাওয়া হয়েছে।