আওয়ামীলীগ পরিবার ছেড়ে ধানের শীষে!🌾
পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও, সেই ধারা ত্যাগ করে বিএনপি-তে যোগ দিয়েছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। দলের প্রতি দৃঢ়তার প্রমাণ দিয়ে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন তিনি।
দীর্ঘ সেই রাজনৈতিক লড়াইয়ের স্বীকৃতি পেলেন শ্রাবণ। আসন্ন নির্বাচনে তিনি যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়বেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকায় তাঁর নাম ঘোষণা করেন।
প্রায় এক যুগ পর নিজ এলাকায় ফিরে বিপুল মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন শ্রাবণ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, ভিন্ন মতাদর্শের হলেও নির্বাচনে পরিবারের প্রভাব পড়বে না। দলের ভেতরের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করে তারেক রহমানকে এ আসনটি উপহার দিতে চান।
শ্রাবণ নির্বাচিত হলে কেশবপুরের বড় সমস্যা জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দেন।
পরিবার ত্যাগ করে শ্রাবণ পেলেন ধানের শীষের মনোনয়ন
পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলেও, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন যোগ দেন বিএনপির রাজনীতিতে। এর ফলে তিনি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হন। সেই শ্রাবণ এবার যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকায় তাঁর নাম ঘোষণা করেন।প্রায় এক যুগ পর গত ২০ সেপ্টেম্বর যশোরের কেশবপুর উপজেলায় নিজ জন্মভূমিতে ফিরেছিলেন শ্রাবণ এবং সেদিনই তিনি এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করার ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি বিপুল সংখ্যক মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন পান।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শ্রাবণ বলেন, তাঁর পরিবার ভিন্ন মতাদর্শের হলেও নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। দলে মনোনয়ন নিয়ে কিছুটা দ্বন্দ্ব থাকলেও তিনি সবাইকে নিয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করে তারেক রহমানের কাছে এ আসনটি তুলে দিতে চান। তিনি আরও জানান, নির্বাচিত হলে তিনি কেশবপুরের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করবেন এবং কেশবপুরবাসীর মন জয়ের জন্য কাজ করবেন।
পরিবারের আওয়ামী লীগ পটভূমি:
শ্রাবণের গ্রামের বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামে। তাঁর বাবা, কাজী রফিকুল ইসলাম, ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং মুক্তিযোদ্ধা, যিনি কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানও ছিলেন। তাঁর বড় ভাই মুস্তাফিজুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বর্তমানে দল থেকে বহিষ্কৃত। তাঁর অন্য ভাইয়েরাও উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এমন একটি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়েও বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত হওয়ায় তিনি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক দশকের বেশি সময় ধরে আলাদা ছিলেন।
তাঁর এই দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে দলের নেতাকর্মীরা তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। গত ২০ সেপ্টেম্বর কেশবপুরে তাঁর ফেরা উপলক্ষে প্রায় দেড় হাজার মোটরসাইকেল এবং শতাধিক মাইক্রোবাস নিয়ে নেতাকর্মীরা তাঁকে বরণ করে নেন।
24 Hours Khobor | ২৪ ঘণ্টাই খেলার খবর ২৪ ঘন্টাই খেলার খবর
