অবশেষে মোহামেডানের কাছে হেরে গেলেন মাশরাফির রূপগঞ্জ!জিতলেই আবাহনী লিমিটেডের সমান ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট হয়ে যাবে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের। আজ সোমবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সেই সমীকরণ এবং সম্ভাবনা সামনে রেখেই মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার রূপগঞ্জ। প’রিসংখ্যান বলছে, আগের বছর প্রিমিয়ার লিগে বিকেএ’সপিতে এই মোহামেডানের বিপক্ষে ৬ উইকেট দখল করে লি’জেন্ডস অব রূগঞ্জকে জিতিয়েছিলেন মাশরাফি।
এবার প্রিমিয়ার লিগে প্রথম দিন খেলতে নেমেই গাজী গ্রুপ ক্রি’কেটার্সের বিপক্ষে ১৯ রানে ৫ উইকেট দখল করে রীতিমত সাড়া জাগিয়ে ফেলেছেন ৩৮ বছর বয়সের পা রাখা মাশরাফি। কাজেই লি’জেন্ডস অব রূপগঞ্জ ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফির কাছ থেকে এমন একটি বি’ধ্বংসী স্পেলের আশায় ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ব্যাটাররা লড়াই করার মতো পুঁজিও গড়ে দিতে পারেননি। আগে ব্যাট করে ১৭৮ রানে অ’লআউট হয়ে যায় মাশরাফির রূপগঞ্জ।
তরুণ বাঁহাতি শামীম পাটোয়ারী ছাড়া আর কেউ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। শামীমের সঙ্গে শেষ দিকে মোটামুটি হাত খুলে ব্যাট করে ৩১ বলে ২১ রানের এক ইনিংস উপহার দেন মাশরাফি। কিন্তু ২ বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও মোহাম্মদ আসিফ হাসান আর অফস্পিনার আরিফুল ইসলামের সাড়াশি স্পিন আক্রমণে ১৭৮ রানেই শেষ হয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ইনিংস। ছোট এই পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জেতা সহজ নয়। আর বল হাতেও ম্যাজিক দেখাতে পারেননি মাশরাফি।
যে কারণে মোহামেডানের ব্যা’টারদের ঘায়েল করা স’ম্ভব হয়নি রূ’পগঞ্জের পক্ষে। শুরুতে ৭ রানে ২ উইকেট হা’রানো মো’হামেডানের ওপেনার রনি তালুকদার আর ৪ নম্বর মাহিদুল ইসলাম অংকন মা’শরাফির বু’দ্ধিদীপ্ত বোলিংকে ঠাণ্ডা মা’থায় দেখে খেলেন। ৭ পা দৌড়ে জেন্টাল মিডিয়াম পে’স করে মাত্র ৩ ওভারের স্পেল (১১ রানে) উপ’হার দিয়ে কিছুটা স’ময় ফিল্ডিং করে মাঠ ছাড়েন মাশরাফি। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১ আর ওয়ানডাউনে নামা প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ২ রানে ফেরার পর রনি ও অংকন তৃতীয় উইকেটে ধৈর্য ধরে বলের মেধা ও গুন বিচার করে ঠাণ্ডা মাথায় খেলে মোহামেডানকে জয়ের পথে অনেক দূর এগিয়ে দেন।
অংকন ৭৮ বলে সমান তিনটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৯ রানে আউট হলেও রনি ৯২ (১১৪ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কা) রানের হার না মানা ইনিংস উ”পহার দিয়ে দল জিতিয়ে সা’জঘরে ফেরেন। ৫০ বল আগে ৬ উ’ইকেটের জয় পায় সাদা-কালোরা। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপ’ক্ষে দারুণ এ জয়ে মো’হামেডানেরও অ’বস্থার উন্নতি ঘটলো। সবচেয়ে বেশি লা’ভবান হয়েছে গত লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। ৫ ম্যাচের সবগুলোতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আবাহনী লিমিটেড।
হঠাৎ করে ২৯ জন ক্রিকেটারকে কেন সেনাবাহিনীর ট্রেনিংয়ে পাঠাচ্ছে পাকিস্তান?
সমান ম্যাচ খেলে এক হার ও ৪ জয়ে আবাহনীর পরে আছে প্রাইম ব্যাংক, শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। সংক্ষিপ্ত স্কোর: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৭.১ ওভারে ১৭৮/১০ (রিজওয়ান ২৫, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ২৬, শামীম পাটোয়ারী ৫৯, শুভগত হোম ১৬, মাশরাফি ২১; নাসুম ৩/৩০, আসিফ ৩/৩০, কামরুল ইসলাম রাব্বি ২/৩২)। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪১.৪ ওভারে ১৭৯/৪ (ইমরুল ১, রনি তালুকদার ৯২*, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ২, মাহিদুল ইসলাম অংকন ৫৯, আরিফুল ৬, মাহমুদউল্লাহ ৯*; হালিম ২/২৫ আল আমিন ১/২০, মাশরাফি ০/১১, শুভগত হোম ১/৪৮)। ফল: মোহামেডান ৬ উইকেটে জয়ী।