দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ব্যস্ততম মানুষ খালেদ মাহমুদ সুজন। বয়সভিত্তিক দল থেকে জাতীয় দল সকল ক্ষেত্রেই তার ভূমিকা থাকে। তবুও এই মানুষটিকে নিয়েই হয়
সবচেয়ে বেশি সমালোচনা। বিভিন্ন সময়ে তার বিভিন্ন মন্তব্য নিয়েও চলে জোর আলোচনা। এমব মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সুজন আছেন সমালোচকদের নিশানায়। তিনি বলেছিলেন, লঙ্কা দলে বিশ্বমানের ক্রিকেটার নেই। শিরোপা জয়ের পর লঙ্কানরা বলছে, ট্রফি জিততে বিশ্বমানের ক্রিকেটার লাগে না। এসব বিষয়ে
প্রশ্ন করা হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সুজন। মিরপুর শেরে বাংলায় গতকাল সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমনি ইন্টারভিউ দিতে চাই না কারণ আমাদের কথার অনেক টুইস্ট হয়। যেমন, সেদিন আমি বলেছিলাম যে, বিরাট কোহলি ও
রোহিত শর্মা যে রকম শট খেলেন, আমরা যদি আফিফদের ফুল ফ্রিডম দিই, তারাও ওর চেয়ে বেটার শট খেলতে পারবে। কিন্তু সেটা মিডিয়াতে আসল যে, আফিফ বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার চেয়ে ভালো শট খেলে। এর মানে কী?’
সুজন গণমাধ্যমকে দায়ী করে বলেন, ‘এরপর আমি গালি খেলাম একশ! এটা তো আপনাদের অধিকার না আমাকে মানুষের গালি খাওয়ানোর। এখন তো রিকশাওয়ালার হাতেও মোবাইল ফোন আছে। তারা তো আর পড়তে পারে না। তারা শুধু হেডিংটা
পড়ে। যেহেতু আমি বাঙালি, আর বাঙালিকে কেউ গালি দিলে আমিও গালি দেব। আমি এই টাইপের ছেলে। আমি মনে করি, আমার গায়ে পুরো বাংলাদেশি রক্ত চলে। আমি বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দিয়ে…বাংলাদেশের লোগো লাগানো। সুতরাং বাংলাদেশকে নিয়ে কেউ বলে আমার থেকে পার পেয়ে যাবে, এটা হবে না। ‘
সুজন বলেন, ‘আপনাদের প্রফেশন যেমন সাংবাদিকতা, আমাদের প্রফেশন মাঠে। ক্রিকেটের সঙ্গে আছি আমরা। তবে আমরা সবাই কিন্তু বাঙালি। আমরা যদি মনে করি, বাংলাদেশ টিমকে জিততে হবে, ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, সবচেয়ে বড়
ভূমিকা রাখা দরকার আপনাদের। কারণ আপনাদের ম্যাসেজগুলো সারা দেশের মানুষ পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সবাই ফেসবুক ইউজ করে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের লেখা ওদের চোখে পড়ে। সেটা চিন্তা করে ওদের ক্যারিয়ারের জন্য, যে বলটা ওরা ছয় মারতে পারে, ওই বলটায় আস্তে করে এক রান নিয়ে ওপারে চলে যাচ্ছে। ‘