এবার ব্যাটারদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মোহাম্মদ আশরাফুল। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের পায়ের তলায় যেন মাটি নেই। দেশে কিংবা বিদেশে, একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলছে তারা। এই হারের অন্যতম কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা। বাজে
ব্যাটিংয়ে টেস্ট হারের পর টি-টোয়েন্টিতেও একই চিত্র। এ দুই ফরম্যাটে ব্যাটাররা কেন ব্যর্থ, টেকনিক নাকি মানসিক কারণে তারা পারছেন না? জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের মনে করেন, ভালো ব্যাট করার সক্ষমতাই নেই ব্যাটারদের। দলের কোচদেরও ব্যর্থতা দেখছেন দেশের অভিজ্ঞ এই
ক্রিকেটার। আশরাফুল বলেন আমার কাছে মনে হয় ব্যাটারদের সক্ষমতার অভাব রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যে উইকেটে ব্যাট করছে সেখানে ১৯০ রান করে জেতার সক্ষমতা নেই। দেশে যেমন উইকেটে খেলে তাতে অন্তত টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ে কোনো উন্নতি হবে না। আর
মানসিক ও টেকনিকে সমস্যা তো থাকবেই। যখনই টেস্ট বা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ খারাপ করে তখনই প্রশ্ন ওঠে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে। বলা হয় ঘরোয়া ক্রিকেটের আসরগুলো প্রতিযোগিতামূলত নয়। জা’তীয় দলের ক্রি’কেটাররা নিয়মিত ঘ’রোয়া ক্রিকেট খেলেন না, তা নিয়েও অ’ভিযোগের শেষ
নেই। তবে আশরাফুল জানালেন এসব অভিযোগ কোনোটাই সঠিক নয়। গেল ১০ বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটের দারুণ উন্নতি হয়েছে। এছাড়াও দুই বা তিনজন ছাড়া বেশিরভাগ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সুযোগ থাকলে ঘরোয়া ক্রি’কেটে খেলেন বলেই জানান আশরাফুল। তিনি বলেন, ‘যারা বলে ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতি’যোগিতামূলক
না, এসব বাজে কথা। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে চান না- এমন অভিযোগ সম্পর্কে আশরাফুলের মন্তব্য, ‘গেল ৮ থেকে ১০ বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক উন্নতি হয়েছে। অনেক প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে। জাতীয় দলে খেলা বেশিরভাগ ক্রিকেটারই নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে। এ’দের মধ্যে সাকিব একটু কম খেলে তবে সুযোগ
পেলে কিন্ত সেও খেলে। শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। উইকেটের উন্নতি করতে হবে। তবেই চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে ব্যাটাররা। বিকেএসপির উইকেটে টি-টোয়েন্টি খেলুক, দেখবেন ব্যাটার বা বোলার সবাই ভালো করবে। মিরপুরের ১২০/১৪০ রানের উইকেটে খেলে ক্ষ’তিই হবে। এখানে ব্যাটিং শেখার মত কিছুই
নেই।’ টেস্ট ক্রিকেটে দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতার অন্যতম কারণ সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রাধান্য না দেয়া বলে মনে করেন আশরাফুল। তিনি বলেন টেস্টে ভালো করতে হলে অবশ্যই দলে সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দিতে হবে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে শুধু তরু’ণদের সুযোগ দিলেই হবে না। যেমন নাঈম ইসলাম,
এনামুল হক বিজয়রা আছে। এছাড়াও তুষার ইমরান ছিল তাকে সু’যোগ দেয়া হয়নি। সে তো খেলাই ছেড়ে দিয়েছে। টেস্টে অ’ভিজ্ঞদের সুযোগ দিলে দেখবেন পরি’বর্তন এসেছে।’ জা’তীয় দলে নামি-দামি কো’চের অভাব নেই। সবশেষ ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে ফে”রানো হয়েছে জা”তীয় দ’লের সাবেক প্রধান কোচ জেমি সিডন্সকেও।
কিন্তু এরপরও টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কি কোচরা ব্যর্থ! একজন কোচকে সমান তালে ম্যান্টরও হতে হয় বলে মনে করেন এই সিনিয়র ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘দেখুন, আ’মাদের নামি-দামি কোচ আছেন। কিন্তু মেন্টর নেই। দেশের
কোচদের অন্যতম গুণ হতে হবে তারা ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে প্রস্তত করবেন। কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, কোন দলের বিপক্ষে কী পরিকল্পনা হবে তা নিয়ে ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করবে কোচ। যেমন নাজমুল আবেদিন ফাহিম স্যাররা ক্রি’কেটারদের নিয়ে ওয়ান টু ও’য়ান কাজ করেন। তাদের ভুলগুলো
ধরে ধরে, ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করেন। এমন হতে হবে কোচের পরিকল্পনা। সত্যি কথা বলতে আমাদের কোচ থাকলেও তারা প্রকৃত মেন্টর নন। জার কারনে ক্রি’কেটারদের দুর্বল জাইগা গুলো নিয়ে কাজ করা হইনা।