শুক্রবার বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। তাই শনিবার সকাল থেকেই বাফুফে ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়।
সবার অপেক্ষা ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের জন্য। দুপুরে ভবনে ঢুকে কিছুক্ষণ পরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সালাউদ্দিন। বাফুফের আর্থিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ফিফার আপত্তি এবং সোহাগের নিষেধাজ্ঞায়
দেশের ফুটবলে নেমে এসেছে কালো মেঘ। অনেকেই এটাকে ফুটবলের জন্য বড় লজ্জা বলে মনে করছেন– এমন প্রশ্ন শুনে সালাউদ্দিনের জবাব, ‘থ্যাঙ্ক ইউ’।
সালাউদ্দিনের আমলে ফুটবলের ভরাডুবি হয়েছে। মাঠে পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই হলেও চেয়ারে বসে সালাউদ্দিন শুনিয়ে আসছেন নিজের গুণগান। কিন্তু সাধারণ সম্পাদকের নিষেধাজ্ঞার জন্য অনেকে তাঁরও দায় দেখছেন। সোহাগ নিষিদ্ধ হলেও তাঁর বিকল্প না ভেবে
বরং ফিফা জেনারেল সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান তিনি, ‘আমি একটা জরুরি সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলাম। তবে আমাদের দু’জন ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে আছেন।
তাই আমি সভা ডাকতে পারিনি। তাঁরা কাল-পরশু দেশে এসে পৌঁছাবেন। সবাই এলে পরশুদিন আমরা বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেব। এর পর আপনাদের জানিয়ে দেব পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। আপাতত ফিফা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা সেখানেই আছি।
বাফুফে কী সিদ্ধান্ত নেবে, তার জন্য সবাইকে দু’দিন অপেক্ষা করতে হবে। সোমবার দিন ফিফার অফিস খুলবে। আমি ফিফা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলব। এর পর আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।’
গত ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ সম্পাদক সোহাগসহ বাফুফের কয়েকজন কর্মকর্তা জুরিখে গিয়েছিলেন। সে সময় এটাকে নিয়মমাফিক সফর বলে মন্তব্য করেছেন সালাউদ্দিন। তাঁর কথাবার্তায় মনে হয়েছিল যেন কিছুই জানতেন না। এখন ফিফা নিষেধজ্ঞা দেওয়ার পর সুর পাল্টিয়েছেন বাফুফে সভাপতি, ‘ওরা যখন জুরিখে গিয়েছিলেন, তখন বুঝেছিলাম যে একটা কিছু চলছে। তখনও অফিসিয়ালি আমাকে কেউ জানায়নি। এখনও অফিসিয়ালি আমি ফিফা থেকে কোনো চিঠি পাই নাই।’
বাফুফের সেক্রেটারি সোহাগকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছে ফিফা
সালাউদ্দিনের দাবি, ফিফা আর্থিক অনিয়ম নিয়ে কিছু বলেনি, ‘ওরা (ফিফার এথিকস কমিটি) কিন্তু বলে নাই আর্থিক অনিয়ম। রিপোর্টে আর্থিক অনি য়ম বলা হয়নি। ওরা কোড অব এথিকস এবং রেসপনসিবিলিটি নিয়ে বলেছে। অবশ্য, যাই বলা হয়েছে সবই এখানে আসবে। লুকানোর কিছু নাই। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলার আগে আমার সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার সব ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র মেম্বারদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সিদ্ধান্ত যেটা হবে, সেটাই আমি সবাইকে জানাব।’