নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়, এরপর ভারতের বিপক্ষে টেস্টেও জয়, সবমিলিয়ে দুর্দান্ত শুরু ছিল অধিনায়ক বেন স্টোকসের। তবে সাদা পোশাকে রীতিমতো উড়তে থাকা ইংল্যান্ডকে লর্ডস টেস্টে পাত্তায় দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের
প্রথম টেস্টে ইনিংস এবং ১২ রানের জয়ে সিরিজেও লিড নিয়েছিল প্রোটিয়ারা। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম হেড কোচ এবং বেন স্টোকস অধিনায়ক হওয়ার পর একেবারেই পাল্টে গেছে ইংল্যান্ড টেস্ট দলের চেহারা। সাম্প্রতিক সময়ে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে সফলতা
পাচ্ছে ইংল্যান্ড। এই ধারা অব্যাহত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজেও। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজে জয়ের পর স্টোকস বলেছেন, এই আগ্রাসী মনোভাব ধরে রাখতে চায় তার দল।
কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে একেবারেই সময় নেয়নি স্টোকসের দল। দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় ইংলিশরা। এরপর ওভাল টেস্টে ৯ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজ জয়ের ধারা অব্যাহত
রেখেছে ইংল্যান্ড। স্টোকস বলেন, ‘আমরা সবসময়ই এভাবেই খেলে যাব, যেভাবে লোকে বিনোদনের খোরাক পায়। সবসময়ই আমরা ক্রিকেটের ইতিবাচক দিকটা খুঁজে নিতে চাই।’খেলোয়াড় হিসেবে শুরু থেকেই
আক্রমণাত্বক দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন ম্যাককালাম। ইংল্যান্ডের কোচ হয়েও বদলায়নি তার দর্শন। সাদা পোশাকের কোচের মতোই অধিনায়ক স্টোকসও লড়াকু মানসিকতার। মাঠের ক্রিকেটে
স্টোকসের আক্রমণাত্মক মনোভাব আর ড্রেসিংরুমে ম্যাককালামের মাস্টার মাইন্ড। সবমিলিয়ে নতুন যুগে ইংলিশদের টেস্ট ক্রিকেট। আর এমন আক্রমণাত্মক দর্শন দলের সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে টিম
ম্যানেজমেন্ট। স্টোকস বলেন, ‘আমার কাছে ব্যাপারটি (আক্রমণাত্মক খেলা) হলো, স্বচ্ছ একটি বার্তা দেয়া। আমি ও ব্রেন্ডন (ম্যাককালাম) দলকে এই বার্তা দিয়ে আসছি এবং এই সেদিনও ড্রেসিং রুমে বলছিলাম, আমরা আমাদের চাওয়ার কথা বলছি। আমরা কেবল এই বার্তাই দিতে পারি। কাজটা গোটা দলের।