বাংলাদেশ দলের অনেক ম্যাচে জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার নেতৃত্বে রেকর্ড ৪৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অংশ নিয়ে ১৬টিতে জয় পায় টাইগাররা। সাম্প্রতিক বাজে পারফরম্যান্সের
কারণে নেতৃত্ব হারান রিয়াদ। অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্যটি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের বাদ পড়ার গুঞ্জন রয়েছে। সোমবার মিরপুরে অনুশীলন
শেষে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, যদিও দল ঘোষণার (বিশ্বকাপের) দুই দিন বাকি আছে, তবে এখনই এর উত্তর দেওয়াটা তাড়াহুড়ো হয়ে যায়।
যেহেতু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ক্যাম্পে আছে, সে এখনো সাদা বলের ক্রিকেটে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। টেস্টেও ছিল, যদিও অবসর নিয়েছে। চিন্তা করেছি, তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দল চূড়ান্ত করার সময় এলেই সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, রিয়াদের মতো একটা ছেলে এত বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সার্ভিস দিচ্ছে, তার বিষয়ে হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। তার সার্ভিসকে আমরা সব সময় মূল্যায়ন করতে চাই।
তবে সারা জীবন কেউ থাকবে না, এটাও স্বাভাবিক। ২০০৭ সাল থেকে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ ১২১ ম্যাচ খেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার প্রসঙ্গে সুজন বলেন, সে যেহেতু এখনো টি-টোয়েন্টি খেলে, তার
অভিজ্ঞতা আছে। তবে এটির ভিত্তিতে আমরা কাউকে আলাদা করছি না। রিয়াদ আমাদের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ; তেমনি ইয়াসির আলী রাব্বির মতো একজনও আমাদের জন্য
তেমনই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই জাতীয় দলের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়। তিনি আরও বলেন, রিয়াদের এখনো খেলার আগ্রহ ও চেষ্টা আছে। তবে রিয়াদের কাছ থেকে যেটা আশা করি, সেটা পাইনি।
অবশ্য ছোট ছোট ইনিংস আছে, একদম নেই তা না। ২৭ বলে ২৭ আছে, ২২ বলে কিছু রান আছে। তবে রিয়াদ ম্যাচ উইনার। এটা ভুলে গেলে হবে না। ওয়ানডেতেও ওর এমন কিছু ইনিংস আছে, যেগুলোতে ও একাই বাংলাদেশকে জিতিয়েছে।
এমন একটা ছেলেকে হঠাৎ করে “নো” বলতে পারবেন না। তবে অবশ্যই ব্যক্তি থেকে দল অনেক বড়। দিনশেষে বাংলাদেশ দলের জন্য যা প্রয়োজন, আমরা সেটাই করব।
তবে বিভিন্ন সূত্রে থেকে জানা যায় যে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চাওয়াতেই রিয়াদকে বাদ দিতে পারছে না টিম ম্যানেজমেন্ট । অধিনায়কের দায়িত্ব
নেওয়ার আগে কিছু শর্ত ছিল যেগুলো মধ্যে রয়েছে িঅধিনায়কের স্বাধীনতা । তারই অংশ হিসাবে সাবকব আল হাসানের চাওয়া টি২০ বিশ্বকাপে দলে রাখা হবে রিয়াদ কে।