দেশের ক্রিকেটে এখন আলোচনার বিষয় কেমন হচ্ছে টি২০ বিশ্বকাপ দল। সে কৌতূহল মেটাতে আজ দুপুরে দল ঘোষণা করবে বিসিবি। ততক্ষণ পর্যন্ত সমর্থকদের মনে অনেক প্রশ্ন
উঁকি দেওয়া স্বাভাবিক। বিশেষ করে বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহর থাকা না থাকা নিয়ে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে মাহমুদউল্লাহর থাকার সম্ভাবনা কম।
দল ঘোষণার আগে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু কথা বলবেন বলে জানান একজন পরিচালক। এ থেকেও একটা বিষয় পরিস্কার- বিশ্বকাপ
পরিকল্পনায় মাহমুদউল্লাহ হয়তো নেই। ১৫ জনের স্কোয়াডে নেওয়া হলে প্রধান নির্বাচকের কথা বলার প্রয়োজন হতো না। শেষ মুহূর্তে নাটকীয় কিছু না ঘটলে মাহমুদউল্লাহকে ছাড়াই দেখা যেতে পারে টি২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াড।
বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত করতে গতকাল নির্বাচক কমিটির সঙ্গে সভা করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। স্কোয়াড নিয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন,
টি২০ দলের টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরাম, নির্বাচক প্যানেলের প্রধান নান্নু ও সদস্য হাবিবুল বাশারের সঙ্গে দল নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা শুনেছেন বিসিবি সভাপতি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও মতামত দিয়েছেন।
সবকিছু ঠিক হয়ে গেলেও বোর্ড সভাপতি সংবাদ সম্মেলনে কোনো কিছুই প্রকাশ করেননি। বরং মাহমুদউল্লাহর অবসর ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘যদি ও (মাহমুদউল্লাহ)
করতে চায় (অবসর) বা ওকে যদি আমরা স্কোয়াডে জায়গা দিতে না পারি, তাহলে তো সুযোগ দেওয়া উচিত (মাঠ থেকে অবসর নেওয়ার)। এটুকু সম্মান ওকে করা উচিত।’
বিসিবি সভাপতির পরের বক্তব্যেও বোঝা গেছে সামনের টি২০ বিশ্বকাপ টার্গেটে রেখে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের স্কোয়াড সাজানো হয়েছে। পাপনের মতে, ‘আমরা এখন যা করছি এই বিশ্বকাপের জন্য না। আপনাকে পরের বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে হবে।
আমাদের মাথায় পরের বিশ্বকাপ। রাতারাতি সব বদল করা যায় না। দীর্ঘমেয়াদে এখন চিন্তা করছি। পরের টি২০ বিশ্বকাপের জন্য দল ঠিক করছি। ওটা যদি খারাপও হয় হতাশ হব না। যাতে ৬-৭ মাস বা এক বছরের মধ্যে দল দাঁড়িয়ে যায়, সেটা চাচ্ছি আমরা।’
বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহর বাদ পড়া ছাড়া হয়তো বড় কোনো চমক থাকবে না। নির্বাচকরা অভিজ্ঞ, পারফরমার এবং সম্ভাব্য সেরাদেরই সুযোগ দিচ্ছেন বিশ্বকাপে। চোটমুক্ত হয়ে লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলী রাব্বি অনুশীলন
ম্যাচ খেলে কোচের দৃষ্টি কেড়েছেন। গোড়ালির চোটমুক্ত হলেও হাসান মাহমুদ বোলিং শুরু করেননি। কাল অনুশীলনে তাঁর বোলিং দেখতে চেয়েছেন কোচ। মেডিকেল বিভাগ থেকে পুরোদমে বোলিং করতে অনুমতি না পেলেও বিশ্বকাপ দলে রাখা হচ্ছে
তাঁকে। এবাদত হোসেনের জায়গায় নেওয়া হতে পারে শরিফুল ইসলামকে। এশিয়া কাপ খেলা এনামুল হক বিজয়, নাঈম শেখ, পারভেজ হোসেন ইমনকে বাদ দেওয়া হতে পারে। দুই
স্পিনার নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদীর যে কোনো একজন না থাকলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। গত কিছুদিন আলোচনায় থাকা সৌম্য সরকারের ভাগ্যেও শিকে ছিড়ছে না।